‘কোচিংয়ে যেতে বাধ্য করা ও অতিরিক্ত ফি নেয়া যাবে না’
স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে যেতে বাধ্য করবেন, আবার অতিরিক্ত ফি নেবেন, তা হবে না। এমন কথা জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
আদালতে মামলার বিবাদী গাজীপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের গভর্নিং বডি) সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যক্ষের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সুহান খান। অন্যদিকে সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
শুনানিকালে ব্যারিস্টার সুহান খান আদালতকে বলেন, পরীক্ষার ফি’র পাশাপাশি অতিরিক্ত টিউশনের বিনিময়ে কিছু ফি গ্রহণ করা যায়। তবে এই অতিরিক্ত সুবিধা গ্রহণ করবে কী করবে না, তা শিক্ষার্থীদের বিষয়।
এসময় আদালত বলেন, না, গলায় দড়ি বেঁধে বলবেন কোচিংয়ে যেতে হবে, আবার অতিরিক্ত ফি নেবেন, তা হবে না।’
এরপর ব্যারিস্টার সুহান খান এ মামলায় শুনানির জন্য দুই সপ্তাহ সময় চান। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন এবং পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী ১৮ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ২৩ নবেম্বর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার গাজীপুর স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. জালাল উদ্দিন খান একটি রিট দায়ের করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন।
এরপর গত ২৮ নবেম্বর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ সরকারি ফি’র বাইরে অতিরিক্ত ফি আদায় কেন বে আইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সরকারের শিক্ষা সচিব, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট নয় জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার গাজীপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, পরিচালক পর্ষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে বলা হয়েছিল।