বুধবার ২২ মে ২০২৪
Online Edition

প্রতিটি মাদার ভেসেলের জন্য দুই থেকে তিন লক্ষ ডলার ডেমারেজ চার্জ গুণতে হচ্ছে

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে লাইটারেজ’র মাধ্যমে পণ্য খালাসে চলছে সংকট। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে জাহাজজট অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। পনের থেকে একুশ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করে মাদার ভেসেল ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে দেড় মাসেও ফিরতে পারছে না। এমতবস্থায় দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহ্বুবুল আলম চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে লাইটারেজ’র মাধ্যমে পণ্য খালাসে বিদ্যমান সংকট নিরসনে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি’র প্রতি ৩১ অক্টোবর এক পত্রের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছেন।

পত্রে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে জাহাজজট অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। পনের থেকে একুশ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করে মাদার ভেসেল ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে দেড় মাসেও ফিরতে পারছে না। এ সংকটের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত লাইটারেজ জাহাজের অভাব অন্যতম প্রধান কারণ। যেখানে প্রতিদিন একাধিক লাইটারেজ জাহাজ থাকার কথা, সেখানে সপ্তাহে মাত্র একটি থেকে দুইটি লাইটারেজ পাওয়া যাচ্ছে। যার দরুন প্রতিটি মাদার ভেসেলের জন্য দুই থেকে তিন লক্ষ ডলার ডেমারেজ চার্জ গুণতে হচ্ছে। ফলে আমদানিকারকগণ মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন যার দায়ভার শেষ পর্যন্ত ভোক্তা সাধারণকেই বহন করতে হবে। অপরপক্ষে বহির্নোঙ্গরে আনা-নেয়ার জন্যে লাইটারিং যন্ত্রপাতি যেমনঃ পে-লোডার, গ্র্যাব, এস্কেভেটর ইত্যাদি লোডিং আন-লোডিং এর কোন জেটির ব্যবস্থা না থাকার ফলে এসব যন্ত্রপাতির জন্য ৩/৪ দিন অতিরিক্ত সময় লাগছে। 

তিনি বলেন, পর্যাপ্ত লাইটারেজ জাহাজ না পাওয়ার বিষয়ে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি) ও আমদানিকারকগণ পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। ডব্লিউটিসির ভাষ্যমতে আমদানিকারকরা লাইটারেজ থেকে সময়মতো পণ্য গুদামজাত না করার ফলে লাইটারেজ পেতে অসুবিধা হচ্ছে। আমদানিকারকদের মতে অধিক মুনাফার লোভে ডব্লিউটিসি সময়মতো লাইটারেজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ার ফলে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। উক্ত সংগঠন সংকটের কথা স্বীকার না করে তাদের নিজস্ব ব্যবসায়িক স্বার্থ সংরক্ষণে তৎপর। এক্ষেত্রে ভোক্তা সাধারণের ভোগান্তি পুরোপুরি উপেক্ষিত মনে করেন মাহ্বুবুল আলম। এ সংকট থেকে উত্তরণে পর্যাপ্ত লাইটারেজ সংখ্যা বৃদ্ধি, লাইটারিং যন্ত্রপাতি লোডিং আন-লোডিং এর জন্য বিশেষ জেটির ব্যবস্থা করা এবং বন্দর, লাইটারেজ মালিক ও আমদানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে নৌমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান চিটাগাং চেম্বার সভাপতি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ