রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

খুলনায় নদীতে পড়ে নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থীর সন্ধান মেলেনি

খুলনা অফিস : খুলনার রূপসা নদী পার হতে গিয়ে ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর (ঢাবি) শিক্ষার্থী খালিদ হাসানের (১৯) সন্ধান মেলেনি। গত শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ডুবুরিরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। বৈরি আবহাওয়ায় নদী উত্তাল থাকায় উদ্ধার তৎপরতা স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিখোঁজ হন তিনি। খালিদ ঢাবির ফার্মেসী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শরিয়তপুর জেলার বাসিন্দা জালাল উদ্দিনের ছেলে। তার ছোট ভাই জাহিদ হাসান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। 

ফায়ার সার্ভিসের খুলনা সদরের স্টেশন মাস্টার প্রণব কুমার বিশ্বাস জানান, নদীতে প্রবল ¯্রােতের কারণে ডুবুরি নামালেও মাটির কাছে যেতে পারছেন না। তাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। 

এছাড়া বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তবে খালিদের স্বজনরা ট্রলার নিয়ে নদীতে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। 

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি নদীতে প্রচন্ড স্রোত থাকায় ডুবুরিদের পক্ষে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান তার ছোট ভাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসানকে নিয়ে গত বহৃস্পতিবার রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলা গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তারা রূপসা নদী পার হওয়ার সময় একটি ট্রলার পূর্ব রূপসা ঘাট এলাকায় পৌঁছালে পন্টুনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে খালিদ হাসান নদীতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মেলেনি। 

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন রূপসা স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. মজিবুর রহমান বলেন, নিখোঁজের সন্ধানে উদ্ধার কাজ অব্যাহত আছে। 

এদিকে ঘাটে চলাচলকারীদের যাত্রীদের অভিযোগ, পূর্ব ও পশ্চিম রূপসাঘাটে নতুন স্থাপিত পন্টুন অতিরিক্ত উঁচু হওয়ায় যাত্রীরা ট্রলার থেকে ওঠানামা করতে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ