বুধবার ২২ মে ২০২৪
Online Edition

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা না করে দুর্নীতি বন্ধ করুন -পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বিদ্যুৎখাতের দুর্নীতি বন্ধ এবং প্রশাসনিক ব্যয় কমিয়ে বিদ্যুতের দাম দেড় টাকা পর্যন্ত কমানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে সরে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিশ্ব বাজারে বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম পূর্বের তুলনায় অনেক কম সে হিসেবে বাংলাদেশে বিদ্যুতের দামও কমানো উচিৎ। কিন্তু বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্যে গণশুনানীর পদক্ষেপ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির চেষ্টা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হলে জনগণের উপর জুলুম করা হবে। এমনিতেই দেশে চাল, ডালসহ নিত্যপ্রেেয়াজনীয় জিনিসপত্রের উর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। আবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হলে জনজীবনের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নতুনভাবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলমান প্রশ্নে জাতিসংঘের ভুমিকা রহস্যময়। তিনি বলেন, জাতিসংঘের কোন আদেশ কোন দেশ না মানলে তার বিরুদ্ধে কঠোর এ্্যাকশন নেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও কেবলমাত্র রোহিঙ্গারা মুসলমান হওয়ায় জাতিসংঘ কঠোর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যা বিশ্ব মুসলিমকে মর্মাহত ও ব্যথিত করেছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট বালুঘাটস্থ একটি মিলনায়তনে আয়োজিত উলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ওয়ারেন্ট অফিসার মাস্টার আমিনুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, শায়খুল হাদীস মাওলানা মকবুল হোসাইন, মুফতি মাসউদুর রহমান চাঁদপুরি, মুফতি ফরিদুল ইসলাম ও এডভোকেট সর্দার মোঃ মানিক মিয়া প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের ফিরিয়ে নিতে আরকান জান্তাকে বাধ্য করতে হবে এবং কূটনৈতিক তৎপরতা আরো জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের মানবিক বিপর্যয় রোধ ও ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের ত্রাণপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আরো সেনা মোতায়েন করতে হবে। বান্দরবানসহ যেসব এলাকায় এখনো ত্রাণ পৌঁছছে না সেসব স্থানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মাঝে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করতে হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুর্দশা করুণ ও অবর্ণনীয়। তাদের ৮০ শতাংশই স্বামীহারা নারী ও পিতা-মাতা অভিভাবকহীন শিশু। মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে মজলুম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ