শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

বগুড়ায় স্ত্রীর বটির আঘাতে স্বামী স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন

 

বগুড়া অফিস : বগুড়ায় একই দিনে স্ত্রী বটি দিয়ে কুপিয়ে স্বামীকে এবং স্বামী গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যা করেছে। দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোঁচপুকুরিয়া গ্রামে এবং বগুড়া শহরের কলোনী চকফরিদ এলাকায় পৃথক দুটি খুনের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বগুড়ায় নববধূকে গলাকেটে হত্যা করার পর আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে স্বামী। বগুড়া শহরের চকফরিদ কলোনী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার সকালে পুলিশ ওই এলাকার একটি বাড়ি থেকে আমেনা (১৮) নামের ওই নববধূর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এ সময় পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী সুজনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, রাতে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে পরে। ভোর রাতে সুজন স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। পরে নিজে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুরি চালায়। এ সময় সুজন চিৎকার করে। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে সুজনকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে আমেনার লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সুজনকে আহত অবস্থায় আটক করে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমেনার বাবার বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। সে বগুড়ার শহরের চকফরিদ কলোনী এলাকায় তার মামার বাসায় থাকতো। সেই সুবাদে সুজনের সাথে ২০ দিন আগে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ছিলো।

বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, আমেনা তার স্বামী সুজনকে বিয়ের পর থেকেই মেনে নিতে পারেনি। তাকে সে পছন্দ করতো না। এই অপছন্দের জায়গা থেকেই হত্যার সূত্রপাত। তিনি আরো জানান, সুজনের চিকিৎসা শেষে তাকে আরো জিজ্ঞাসা করা হবে। তখন এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোঁচপুকুরিয়া গ্রামের জনৈক মকবুল হোসেনের ছেলে শহীদুল ইসলাম (৪২) তার স্ত্রী খাদিজা খাতুন (৩৫) এর বটির আঘাতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার দিন দুপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্ত্রী খাদিজা খাতুন তার হাতে থাকা বটি দিয়ে স্বামী শহীদুলকে সজোরে আঘাত করলে শহীদুল গুরুতর আহত হয়। তাকে প্রথমে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা দ্রুত অবনতি হয়। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে এ পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন সন্ধ্যায় মারা যান। পুলিশ ওই রাতেই স্বামী হত্যাকারী খাদিজা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে। দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ