উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ৪৬টি সড়কে ॥ জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গার সংসদীয়-২ আসনের এলাকার জীবননগর উপজেলা, দামুড়হুদা উপজেলা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর, তিতুদহ ইউনিয়নের ৪৬াট সড়ক পথের বেহাল দশা হওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচল করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ১০ বছরে এসব সড়কগুলো মেরামত না হওয়ায় জনসাধারনকে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ সড়কগুলোর মধ্যে জীবননগর উপজেলার পিয়ারাতলা বাসষ্ট্যান্ড থেকে খয়েরহুদা মাঠপাড়া পর্যন্ত, পিয়ারাতলা বাসষ্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে কাশিপুর হয়ে দেহাটি বাজার পর্যন্ত, খয়েরহুদা গ্রাম থেকে শুরু হযে কাশিপুর বাজার পর্যন্ত, রায়পুর থেকে মারুফদহ পর্যন্ত, বকুন্ডিয়া থেকে কাটাপোল মোড় পর্যন্ত, বালিহুদা থেকে রায়পুর বাজার পর্যন্ত, প্রস্তাবিত দৌলৎগঞ্জ-মাঝদিয়া স্থলবন্দর থেকে ধান্যখোলা পর্যন্ত, জীবননগর থানা মোড় থেকে শুরু করে আকন্দবাড়ীয়া বাজার পর্যন্ত, দত্তনগর পাথিলা কৃষি ফার্ম থেকে হাসাদহ ভাঙ্গাব্রীজ পর্যন্ত, হাসাদহ বাজার থেকে শ্রীরামপুর-তারানিবাস পর্যন্ত ডাঙ্গাপাড়া থেকে শুরু করে গয়েশপুর নতুনপাড়া কাটাপোল থেকে মিনাজপুর বাঁকা পর্যন্ত, জীবননগর পিচ মোড় থেকে শুরু হয়ে শাখারিয়া-সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তা পর্যন্ত, জীবননগর নারায়নপুর মোড় থেকে কয়া পর্যন্ত, জীবননগর চ্যাংখালী মোড় থেকে গয়েশপুর হাইস্কুল হয়ে মাহাতাব মেম্বারের বাড়ী পর্যন্ত, সুবলপুর মোড় থেকে হাবিবপুর-হরিপুর হয়ে বেনীপুর পর্যন্ত, সুটিয়া গ্রাম থেকে শ্রীরামপুর হয়ে হাসাদহ বাজার পর্যন্ত, রায়পুর বাজার থেকে কৃষ্ণপুর গ্রামের কুলসুম মেম্বারের বাড়ী পর্যন্ত, বাঁকা আশতলাপাড়া থেকে সুটিয়া বাজার পর্যন্ত (কাচা-পাকা চরম বেহাল দশা), আন্দুলবাড়ীয়া বাজার থেকে রেল স্টেশন পর্যন্ত, আন্দুলবাড়ীয়া গ্যাঙ কোয়াটার থেকে পাকা বাজার পর্যন্ত, আন্দুলবাড়ীয়া মিস্ত্রিপাড়া থেকে চাঁনপুর খাল পর্যন্ত, আন্দুলবাড়ীয়া-ডুমুরিয়া-উথলী পর্যন্ত, ধোপাখালী থেকে মনোহরপুর বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত, বালিহুদা থেকে নতুন চাকলা পর্যন্ত, বালিহুদা থেকে ষষ্টিতলা পর্যন্ত সড়কগুলোর বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বেগমপুর,তীতুদহ এর হিজলগাড়ী থেকে ভায়া ছোট সলুয়া সড়ক, বেগমপুর গ্রীসনগর বাজার থেকে তীতুদহ প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক,সরকার পাড়া মোড় থেকে সাড়াবাড়িয়া সড়ক, গ্রীসনগর বাজার থেকে তীতুদহ পর্যন্ত, উথলী বটতলা থেকে বেগমপুর বাজার প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক, গ্রীসনগর বাজার থেকে চাঁদপুর ৩ কিলোমিটার সড়ক, দামুড়হুদা উপজেলার সুবলপুর ব্রীজ থেকে কার্পাসডাঙ্গা ৩ কিলোমিটার সড়ক, চন্ডিপুর খামরী পাড়া থেকে সাড়াবাড়িয়া প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক, পরানপুর উত্তর পাড়া থেকে রামনগর প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক, দর্শনা মুজিবনগর সড়কের চন্ডিপুর, কুড়–লগাছী ও চন্দ্রবাস গ্রামের গ্রায় ৫ কিলোমিটার সড়ক, দর্শনার স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাড়ী থেকে দর্শনা চেকপোষ্ট সড়ক, দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোড় থেকে বেগমপুর সড়ক, দর্শনা রশিকশাহ মাজার থেকে দর্শনা চেকপোস্ট সড়ক, দর্শনা বাজার থেকে ঈশ্বরচন্দ্রপুর পৌর মেয়রের গ্রামের সড়ক,দর্শনা পৌরসভার আভ্যন্তরীন সকল সড়ক, ধান্যঘরা মোড় থেকে সদাবরী সড়ক, কার্পাসডাঙ্গা মুচির বটতলা থেকে পীরপুর কুল্লা সড়ক, কার্পাসডাঙ্গা বটতলা থেকে আরামডাঙ্গা সড়ক, কার্পাসডাঙ্গা কাষ্টমস মোড় থেকে মুনসুর আলী বিশ্বাসের বাড়ী পর্যন্ত সড়ক, বাঘাডাঙ্গা মিশন হতে রঘুনাথপুর গোরস্থান পর্যন্ত সড়ক, দামুড়হুদা মাথাভাঙ্গা ব্রীজ থেকে চিৎলা পর্যন্ত সড়ক, চিৎলা মোড় থেকে নতিপোতা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কসহ চুয়াডাঙ্গা-২ আসন এলাকায় ৪৬টি সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এছাড়া হোগলডাঙ্গা ও হেমায়েতপুরের আগের ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় প্লেনসীট দিয়ে কনোরকমে চলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সারা দেশে যখন বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়নের কথা শোনা যাচ্ছে, তখন এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখে অনেকেই তা যেন বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না। বর্তমান সরকারের ৯ বছর অতিক্রান্ত হলেও চুয়াডাঙ্গা-২ আসন এলাকায় জোট সরকারের আমলে নির্মিত সড়কগুলো দীর্ঘদিনেও মেরামত না হওয়ায় সাধারন ভোটাররা হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা অবিলম্বে উক্ত সড়কগুলি মেরামত পূর্বক চলাচলের উপযোগী করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে।