বুধবার ০১ মে ২০২৪
Online Edition

খুলনায় ঈদের পর চালের দাম কেজিতে দুই টাকা বৃদ্ধি

খুলনা অফিস : চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার আমদানি শুল্ক ২৫% প্রত্যাহার করে নিলেও বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি খুলনার বাজারে। দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে দাম। ঈদ-উল আযহার পর মোটা ও মাঝারি চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে প্রায় দুই টাকা। এ অবস্থায় চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে অভিযানে নামছে জেলা প্রশাসন।

নগরীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতিকেজি মোটা (স্বর্ণা) চাল ৪৫ টাকা, মাঝারি ২৮ বালাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বাসমতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, চিকন (মিনিকেট মানভেদে) ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গেল ৩১ জুলাই মোটা (স্বর্ণা) চাল ৪৩ টাকা, মাঝারি ২৮ বালাম ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, বাসমতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, চিকন (মিনিকেট মানভেদে) ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে বিক্রি হয়।

এদিকে চিকন চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও মোটা চালের দাম বেড়েছে। একাধিক ভোক্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোটা ও মাঝারি চালের চাহিদা বেশি। ফলে মধ্যস্বত্বভোগী ও ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খুচরা ব্যবাসায়ী বলেন, মিল মালিকরা (মিলার) হাজার হাজার টন ধান গুদামজাত করে রেখেছে। তারা বাজারের চাহিদার তুলনায় কম চাল সরবরাহ করছে।

নগরীর রূপসা নতুন বাজারে আসা ক্রেতা মো. আনোয়ার মল্লিক ও জাহিদুল ইসলাম বলেন, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না। গেল ঈদের পরেও চালের দাম কেজিতে ২ টাকার মতো বেড়েছে। নগরীর রূপসা কেসিসি সুপার মার্কেটে আসা ক্রেতা মো. কাকন সরদার বলেন, চালের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় আসছে না দফায় দফায় বাড়ছে। দাম বৃদ্ধি পেলেও বাজারে কখনো অভিযান করা হয় না। অপর ভোক্তা মো. সুলতান মোল্লা বলেন, সরকার চালের দাম ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরপরও দাম কমছে না। তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী মো. খায়রুল আলম খোকন বলেন, বেশি লাভের আশায় মিল মালিকরা ধান গুদামজাত করে রেখেছে। যেসব মিলে গুদামজাত করে রাখা হয়েছে সে সব মিলে অভিযান চালালে দাম সহজে নেমে আসবে বলেও জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরীর রূপসা নতুন বাজার এলাকার এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, উত্তরবঙ্গে বন্যার কারণে চালের দাম এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তিনি বলেন, ‘চালের দাম বৃদ্ধির আরেকটি কারণ হচ্ছে মিলাররা অধিক লাভের জন্য কম দামে ধান কিনে মজুদ করে রেখেছেন। ফলে বাজারে ধানের সরবরাহ কিছুটা হলেও কমছে। এসব কারণেই চালের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় আসছে না। ঈদের পরপরই মোটা ও মাঝারি চালের দাম কেজিপ্রতি প্রায় দু’টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান বলেন, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সরকার ভর্তুকি দিয়ে হলেও চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। ভোক্তা পর্যায়ে এ শুল্ক প্রত্যাহারের প্রভাব পৌঁছাতে হবে। চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবং মধ্যস্বত্বভোগীরা যাতে ভোক্তাদের পকেট কাটতে না পারে সেজন্য ২/৩ দিনের মধ্যে বাজার দর মনিটরিং ও অভিযান চালানো হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ