সোমবার ১৩ মে ২০২৪
Online Edition

বন্যায় দশ জেলায় তিন কোটি ৬০ লাখ টাকার প্রাণিসম্পদের ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার : প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর স্বীকার করেছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ১০টি জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় তিন কোটি ৬০ লাখ টাকার প্রাণিসম্পদের ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় ইতোমধ্যেই প্রায় ৮ হাজার ৩৩২টি পশু ও হাঁস-মুরগি মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার এক সরকারি পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৩৩২টি গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি মারা গেছে এবং ১৪৭টি গবাদি ও পোট্রি খামারে পানি উঠেছে। ২ হাজার ৫১৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য নষ্ট হয়েছে। ৫ হাজার ৫৯০ একর চারণভূমি প্লাবিত হয়েছে। ফলে বন্যা কবলিত এ সকল জেলায় পশু খাদ্যের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. আইনুল হক বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় শুধু বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে পশু সম্পদেরই ক্ষতি হয়নি, পশু খাদ্যেরও সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হলো : সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও জামালপুর। পরিসংখ্যানে বলা হয়, সাম্প্রতিক বন্যায় সারাদেশে প্রায় ৪৩ লাখ প্রাণি ও পোল্ট্রি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিসংখ্যানে বলা হয়, সাম্প্রতিক বন্যায় সারাদেশে প্রায় ৪৩ লাখ প্রাণি ও পোল্ট্রি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণিগুলোর মধ্যে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ১৬৬টি গরু, ৫৩ হাজার ৬৩৭টি মহিষ, ২ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৬টি ছাগল, ১ লাখ ৯ হাজার ৯০২টি ভেড়া, ২৪ লাখ, ৩২ হাজার ৬১৮টি মুরগি ও ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯৬টি হাঁস রয়েছে।
রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়, বন্যা কবলিত এলাকায় ইতোমধ্যে ৯৩ হাজার ১৪৯ ডোজ গবাদি পশু ভ্যাকসিন এবং ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৫ ডোজ পোল্ট্রি ভ্যাকসিন বিতরণ করা হয়েছে।
আইনুল হক চলমান কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন, বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ও উপজেলায় সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রাণি সম্পদের রোগ জরুরি ভিত্তিতে নির্ণয়ের জন্য পশু রোগের একজন সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা কবলিত প্রতিটি জেলায়ও পৃথক পৃথক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
দেশে ২ কোটি ৪০ লাখ গবাদি পশু, ১ কোটি ৪০ লাখ মহিষ, ৩৪ লাখ ভেড়া, ২ কোটি ৬০ লাখ ছাগল এবং ৩২ কোটি ৯২ লাখ হাঁস-মুরগি রয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ