রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

’১৮ নির্বাচনের সময় প্রস্তুত, আওয়ামী সুবিধাবাদীরাও প্রস্তুত

জিবলু রহমান : [দুই]
ক্ষমতাসীন থাকা সত্ত্বেও খুন আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে আওয়ামী লীগকে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে। রাজপথ থেকে শুরু করে মাঠঘাট সবুজ প্রান্তর সর্বত্রই নিজেদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। কী নেতা, কী তৃণমূল কর্মী-রক্ত ঝরছে সবারই। প্রতিপক্ষের কারও আঘাতে নয়, নিজেদের গুলি, নিজেদের রামদার কোপেই বেশির ভাগ নেতা-কর্মী ধরাশায়ী হচ্ছেন। চলতি মেয়াদে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা গ্রহণের পর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের দ্বদ্ধ-সংঘাতেই জীবন হারিয়েছেন তারা। এ খুনোখুনির ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন নেতা-কর্মীরা, কখন প্রতিপক্ষ হামলে পড়বে তাদের ওপর। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের খুনোখুনিতে স্থানীয় পর্যায় থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন। স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় হতাশা। দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে কিছু নেতা-কর্মী সাংগঠনিক কার্যক্রমকে রীতিমতো বাধাগ্রস্ত করে ফেলেন। পারস্পরিক খুনখারাবির ঘটনায় দলের ক্যাডারনির্ভর স্থানীয় রাজনীতি গড়ে ওঠার আশঙ্কাও করেন ত্যাগী নেতা-কর্মীরা।
বিষয়টি নিয়ে ১৪ দলের বৈঠকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বহুবার। বৈঠকে কয়েকজন নেতা অভ্যন্তরীণ কোন্দল যাতে চরম হিংসা, হানাহানি, খুনোখুনির পর্যায়ে না পৌঁছে সে ব্যাপারে যথাসময়ে ত্বরিত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও পরামর্শ দেন। তারা আরও বলেন, প্রতিটি খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ তার ত্যাগী নেতা-কর্মী হারালেও এর সুফল চলে যায় বিরোধী দলের ঘরে। খুনোখুনির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন। তিনি প্রশাসনকে সরাসরি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, খুনি যে দলেরই হোক বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া যাবে না। (সূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ৩১ মে ২০১৪)
মূল দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ তথা আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ সংঘাত করে গত সাড়ে ৬ বছরে অন্তত ৫০০ নিহত হয়েছে। কেন ক্ষমতাসীন দলটি নিজেরা নিজেদের মধ্যে এই খুনোখুনির ঘটাচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন করলে হয়তো সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। ২০ দলীয় জোটের বিরুদ্ধে তথাকথিত রাজপথের সন্ত্রাস এবং জঙ্গিত্ব এতটাই বেশি প্রচার পাচ্ছে যে আওয়ামী লীগের খুনোখুনি আড়ালে পড়ে যাচ্ছে। আর আওয়ামী লীগের শান্তিবাদী নেতারা অভাবনীয় রক্তক্ষরণের শিকার হচ্ছেন।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে প্রথম ধাক্কা খায় সম্মেলনের পর। ওই সম্মেলনে একঝাঁক তারকা নেতাকে বিদায় দিয়ে নেতৃত্বে আনা হয় নবাগত ও তরুণদের। যারা ওই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ লাভ করেন, তাদের অনেকেই এর আগে আওয়ামী লীগের সদস্যও ছিলেন না। প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের অধিকাংশের সঙ্গেই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল না। এমনকি সাধারণ সম্পাদকও এই দলে পড়েন। তৃণমূলের সঙ্গে এসব নেতার তেমন যোগাযোগ না থাকা এবং ছিটকে পড়া সিনিয়র, প্রভাবশালী ও তারকা নেতারা অভিমানে নিজেদের গুটিয়ে রাখায় আওয়ামী লীগ প্রায় অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে। প্রায় কাছাকাছি সময় থেকে দলটি জনগণের কাছ থেকে দূরে চলে যায়। যেসব নেতার মাধ্যমে দলের সঙ্গে জনগণ সম্পৃক্ত ছিল মূলত তাদের দূরে ঠেলে দেয়ায় দলটি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে থাকে। টানা পাঁচ বছর এভাবে চলার পর দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনের সময়ই মূলত প্রশাসনের ওপর নির্ভরতার বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ছাড়াই একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতেও আওয়ামী লীগকে হিমশিম খেতে হয়। এ সময় প্রশাসনই দলটিকে রক্ষা করেছে।
অভিযোগ আছে, এই নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন থেকে শুরু করে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগকে গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নিতে হয়। বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেও সরকারি প্রশাসনযন্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও। এর আগে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়। নেতা-কর্মীদের পরিবর্তে এই আন্দোলন মোকাবেলায় পুলিশই কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। ওই সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তাও দিয়েছে পুলিশই। জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।
একতরফা নির্বাচনের পর যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়। এখানে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে হামলাকারীদের মোকাবেলায় কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। সবকিছুই করে প্রশাসন। এদিকে গত ছয় মাসে বিরোধী দল বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা রাজপথে দাঁড়াতেই পারেনি। বিএনপি ও জামায়াতের অধিকাংশ কর্মসূচি প- হয়েছে পুলিশি তৎপরতায়।
দ্বিতীয় দফা ক্ষমতায় এসেও আওয়ামী লীগ সংগঠন গোছাতে পারেনি। মেয়াদোত্তীর্ণ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে মাত্র কয়েকটি জেলার সম্মেলন হয় গত পাঁচ বছরে। এখনও অনেক সাংগঠনিক জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়ে চলছে। শুধু যে সম্মেলন করতে না পারা তা নয়, গত সাড়ে পাঁচ বছরে দলীয় অনেক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্ব। কেবল দিবসভিত্তিক কর্মসূচি পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে দলটির কার্যক্রম।
২০০৯ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের নতুন ঘোষণাপত্র প্রচার ও ব্যাখ্যার জন্য কর্মশালা আয়োজন, নতুন শিক্ষানীতি প্রচার, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে তৃণমূলের সম্মেলন শেষ করার তাগিদও দেয়া হয়। পরে ২০১০ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত আরেক বৈঠকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জনমত গঠনের লক্ষ্যে জেলায় জেলায় সমাবেশ এবং পরে সাতটি বিভাগে মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু একটি মহাসমাবেশও হয়নি।
১০ মে ২০১৪ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত “এট্রোসিটিজ অন মাইনোরিটিজ ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে নিজ দলের সমালোচনায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছিলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে শুধু বিএনপি-জামায়াতকে দোষ দিয়েই পার পাওয়া যাবে না। নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় কি পার পাওয়া গেছে? কার মুখ বন্ধ করবেন? আগে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সংখ্যালঘুরা নীরবে দেশ ত্যাগ করছে। এ পর্যন্ত সংখ্যালঘু নির্যাতনের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে তার একটির মামলাও তদন্ত হয়নি। আমার দেশ, আমার সরকার, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সরকার হওয়ার পরেও এমনটি হচ্ছে। আমরা বিচার করতে পারি নাই এটা আমাদের ব্যর্থতা। দেশকে সহিংস রাজনীতির দিকে ঠেলে দেয়ার কারণেই এমনটি হচ্ছে। (সূত্রঃ দৈনিক নয়াদিগন্ত ১২ মে ২০১৪)
জনগণের পর দল থেকেও প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগের নেতারা। ফলে সাংগঠনিক শক্তি নয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ভরসা এখন সরকারি প্রশাসন। ক্ষমতায় আসার পর গত সাড়ে পাঁচ বছরে ঢাকাসহ মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী লীগের ভিত্তি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। জনমুখী কর্মসূচি দিয়ে সাধারণ মানুষকে দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়নি। এ সময়ে বাস্তবায়ন হয়নি অনেক দলীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এর ফলে বিভিন্ন কাজে দেশের অন্যতম প্রধান দলটিকে প্রশাসনের সহায়তা নিতে হচ্ছে। কেন্দ্র ও মাঠ পর্যায়ের নেতৃত্বের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় দল এ অবস্থায় পড়েছে। এছাড়া যেসব নেতা জনগণকে দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত রেখেছে তাদের মূল্য না দেয়াও বর্তমান অবস্থায় আসার বড় একটি কারণ। ত্যাগী নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন, আত্মীয়-স্বজন পরিবেষ্টিত মন্ত্রী-এমপি, সুবিধাভোগী ও চাটুকারদের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে ত্যাগী কর্মীরা দূরে সরে যাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে জেলা-উপজেলা শাখার সম্মেলন না হওয়া এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত না থাকার জন্যও আওয়ামী লীগ এ অবস্থায় পৌঁছেছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে খুব শক্তিশালী মনে হলেও এর সাংগঠনিক ভিত্তি নড়বড়ে।’ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক এ দলটি সম্পর্কে প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ২৯ জুন ২০১৪ ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, দলটির স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ। পাশাপাশি ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা একশ্রেণীর চাটুকার দুর্নীতি ও লুটপাট করে অঢেল টাকার মালিক হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের এ মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, এটা অযৌক্তিক। আওয়ামী লীগ যথেষ্ট শক্তিশালী দল। এত বড় শেকড় আর কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।
হেফাজতে ইসলামের জ্বালাও-পোড়াও এবং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি ও প্রশাসনের ভূমিকার নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মোটেও প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীল নয়। তবে অনেক দিন ক্ষমতায় থাকায় কিছু লোক যারা ক্ষমতার ফসল পাচ্ছে না তাদের মধ্যে একটি ঝিমুনি এসেছে। (সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর ৬ জুলাই ২০১৪)। জাতীয় নির্বাচনের পর ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি ঢাকা-১ (নবাবগঞ্জ-দোহার) আসনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাঁচজনকে কুপিয়ে হত্যা করে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। নিহত পাঁচজনই ছিলেন আওয়ামী লীগ-যুবলীগ কর্মী।
সংসদ নির্বাচনের পর লক্ষ্মীপুরে নিহত হয়েছেন চরশাহী আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, রায়পুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ, ভাঙ্গাখা ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী রিপন হোসেন, বসিকপুর যুবলীগ নেতা রোমান হোসেন, রামগঞ্জ যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, চন্দ্রগঞ্জ বসুদহিতা ছাত্রলীগ কর্মী মামুন হোসেন, চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই কর্মী রবিউল ইসলাম শিমূল এবং ফরহাদ হোসেন মামুন। তাদের মধ্যে ফরহাদ হোসেন মামুনকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগপন্থি নাসির উদ্দিন নাসির বাহিনী ও বিএনপিপন্থি সোলায়মান হোসেন জিসান বাহিনীর মধ্যকার বিরোধকে কেন্দ্র করেই এসব হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দ্ব›দ্ধ-বিবাদ এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাবলি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক শেষ না হতেই নয়া বিতর্কে নাজেহাল হয় আওয়ামী লীগ। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা দলটির সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ। প্রধান বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন করে মিত্রদের নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর দেশে-বিদেশে বিতর্কের মুখে পড়ে সরকার। কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েই শুরু হয় অভিনব এক সরকারের পথচলা। সংসদের বিরোধী দলকে সরকারে অংশীদারিত্ব দিয়ে নতুন এক সরকার কাঠামোর পথ দেখায় আওয়ামী লীগ। অমসৃণ এই পথ চলা যে বড় কঠিন হবে তা দলের নেতারা শুরু থেকেই আঁচ করে আসছেন।  [চলবে]

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ