রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

ব্রিটেনের সব থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফ্রান্স -তেরেসা মে

ম্যাক্রোঁ, তেরেসা মে

৯ মে, টেলিগ্রাফ এন্ড এক্সপ্রেস, জিও নিউজ : এবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পদে ইমানুয়েল ম্যাক্রোনের বিপুল জয়ের পরে তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে।
গত সোমবার তেরেসা মে ফোনে ম্যাক্রোনকে বললেন, ‘ব্রিটেনের সব থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফ্রান্স। নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে খুবই আগ্রহী আমরা।’
১০, ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র জানান, কাল যখন অভিনন্দন জানাতে ম্যাক্রোঁনকে ফোন করেছিলেন মে, তখনই ব্রেক্সিট নিয়ে অল্পস্বল্প কথা হয় তাদের। এটা একটি সৌজন্যবার্তা। কিন্তু এর পেছনেই লুকিয়ে আছে অনেকটা দুশ্চিন্তা। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রবল সমর্থক ম্যাক্রোঁন নির্বাচিত হওয়ার ফলে ব্রেক্সিটের রাস্তা কতটা বন্ধুর হলো, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে মে প্রশাসন।
‘যে কোনো মূল্যে ব্রেক্সিট’ এই মতবাদের ঘোর বিরোধী ম্যাক্রোঁন। তার প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জঁ পিসানি-ফেরি জানান, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার সময়ে ব্রিটেন যাতে ব্রাসেলসকে চাপ দিতে না পারে, তার দিকে নজর রাখবেন ম্যাক্রোন। তবে তিনি কখনোই চাইবেন না, ব্রিটেনের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক খারাপ হোক। কারণ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মতো বিষয়ে ইউরোপকে জোট বেঁধে চলতে হবে। কিন্তু এই সমঝোতার মনোভাবকে যেন কখনোই নরম মাটি ভেবে না নেয় টেরেসা সরকার। কারণ, ব্রেক্সিটের ফলে ইইউ বিপুল অর্থনৈতিক দুর্দশার মুখোমুখি হোক, তা কখনোই চাইবেন না ম্যাক্রোন বা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের মতো রাষ্ট্রনেতারা।
জমি ছাড়তে নারাজ টেরেসাও। তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পরে অভিবাসনের হার অনেক কমিয়ে দেব আমরা।’ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে লিবারাল পার্টির তরফে বলা হয়, এই ধরনের পদক্ষেপে ভারতের মতো দেশের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কের অবনতি ঘটবে।
এদিকে ফ্রান্সের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্য্যাঁক্রোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। সোমবার এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি শীঘ্রই প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েলের সঙ্গে সাক্ষাতের আশা ব্যক্ত করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আর তাই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ম্যাঁক্রোর বিজয় ইউরোপের পাশাপাশি জাতিসংঘের জন্যও স্বস্তি এনে দিয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, ফ্রান্স জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রথম বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে  সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে জানান ডুজারিক।
মধ্যপন্থী ম্যাক্রোঁ তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলা করার জন্য প্যারিস জলবায়ু চুক্তি রক্ষার প্রতিকশ্রুতি দিয়েছিলেন। এদিকে ১৭৫ টি দেশের স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসতে পারে বলে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ