মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে কাঁঠালিয়ার বিষখালী নদীর ছনলারচর

 

মোঃ জাকির হোসেন, কাঠালিয়া থেকে: ঝালকাঠির দখিন জনপদ কাঁঠালিয়া বঙ্গোপসাগর থেকে মাত্র শত কিলোমিটার নিকটবর্তী বিষখালী নদীর চরে এমন প্রকৃতির নৈসর্গ সাজিয়েছে ছইলারচর। পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও রয়েছে নানা সঙ্কট। তবু সেই সংকট উপেক্ষা করেই প্রকৃতির নয়নাভিরাম এই ছইলার চর পর্যটকের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হেতালবুনিয়া মৌজায় বিষখালী নদীতে ৪১ একর জমি নিয়ে জেগে উঠেছে এক বিশাল চর। যেখানে রয়েছে লক্ষাধিক ছইলা গাছ। আর এ ছইলা গাছের নামানুসারেই এ  চরের নামকরণ করা হয়েছে ছইলারচর।

বর্ষায় জোয়ারের পানিতে পুরো চর ডুবে যায়। আবার ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের মতো ভাটায় পানি নেমে যায়। লাখ ছইলা গাছে বেঁধেছে পাখিরা নীড়। এখানে রয়েছে শালিক, ডাহুক আর বকের সারি। ছইলা ছাড়াও এখানে কেয়া, হোগলা, রানা, এলি, মাদার, আরগুজি সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছে ঘেরা। তাই পাখির কিচিরমিচির ডাকে সব সময় মুখরিত থাকে এ চর। কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. শরীফ মুহম্মদ ফয়েজুল আলম বলেন, “২০১৫ সালে ছইলারচরটি পর্যটন স্পট হিসেবে চি‎িহ্নত করা হয়েছে। এখানে পর্যটকদের জন্য বাথর”ম, বিশুদ্ধ পানির জন্য একটি গভীর নলকূপ এবং ছোট্ট পরিসরে একটি পাকা খোলা কক্ষ (টলসেট) নির্মাণ করা হয়েছে।” কাঁঠালিয়া সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ খান বলেন, পর্যটন স্পট ছইলারচরটি অপার সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর শীতের সময় পর্যটকদের ভীরে মুখরিত থাকে এ স্থানটি। দূর-দূরান্ত থেকে এ মৌসুমে এখানে দৈনিক ৩ থেকে ৪টি করে পিকনিকের দল আসে। কাঁঠালিয়া সদর থেকে চরসংলগ্ন হেতালবুনিয়া আলিম মাদ্রাসা পর্যন্ত পাকা সড়ক থাকলেও চরের সাথে  কোন জেটি নাথাকায় টুলার বা নৌকা ছাড়া এখানে আসার কোন উপায় নেই। তৈরি করা হয়নি ঘাট। তবে সরকারের পৃষ্ঠপোশকতা পেলে এ স্পটটি দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হতে পারে বলে মনে করছেন জনাব হার”ন খাঁন।”সম্প্রতি এ ছইলার চরে পিকনিকে আসা কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব মোঃ গোলাম কিবরিয়া সিকদার বলেন, হৈ হুল্লা আর নাচে গানে বনভোজনের প্রকৃত সাধ পেলাম এখানে। এত মনোরম পরিবেশ, পর্যটনের জন্য এর চেয়ে আর ভাল স্থান হয় না। কিন্তু স্পটটি নিয়ে তেমন মাথা ব্যথা নেই সরকারি বা বেসরকারি কোন সংস্থার।তবে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে নদী থেকে উঠা নামার সিঁড়ি কিংবা ঘাটলা, বিদ্যুৎসংযোগ, টলঘর, রেস্টহাউজ, দোকানপাট এবং সড়ক পথের সাথে একটি জেটি নির্মাণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম করে একটি পুর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।”

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, “ছইলারচরটি পর্যটন সম্ভাবনার হাতছানি। 

এখানে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে ইতোমধ্যেই পর্যটন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।’’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ