রবিবার ০৫ মে ২০২৪
Online Edition

ফুটপাতে বসা মুচিদের ওপরও চাঁদার খড়গ

ছাগলনাইয়া (ফেনী) সংবাদদাতাঃ দারিদ্র্যতার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত এমন এক পেশাজীবীর নাম হচ্ছে মুচি। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। পজিশন নিয়ে দোকান সাজিয়ে বসার যতটুকু অর্থের প্রয়োজন তা তারা জোগান দিতে না পেরে বাধ্য হয়ে নিজ পেশায় বসে পড়ে ফুটপাতে। জুতা সেলাই ও পলিশ করে দিন শেষে যা উপার্জন করে তা দিয়ে পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা হয় বলে, কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছাগলনাইয়া বাজারের মুচি শ্রী রবি দাস বলেন, একই স্থানে এক সারিতে আমরা ৮/১০ জন মুচি প্রতিদিন কাজের অপেক্ষায় বসে থাকি। রতন দাস, শ্রী মনমন, দিলীপ রবি দাস, জীবন দাস, রাম মহন, প্রদিপ কুমার, নবদীপ দাসসহ কয়েকজন মুচি যাদের বাড়ী কুড়িগ্রামের রৌমারি থানার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের অভিযোগ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের রোজগার হোক বা নাহোক প্রতিদিন জনপ্রতি ১০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। কারা গন্ডি নিচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তরে তারা ভয়ে নাম প্রকাশ করেনি। মুচি দোকানি ছাড়াও ফুটপাতে বসে হরেক রকমের দোকান। সকলের অভিযোগ, ফুটপাত কারো ইজারা নেয়া জায়গা নয় তথাপিও অবৈধ গন্ডি দিতে হচ্ছে। এ বিষয়ে বাজার কমিটির সভাপতি আবু আহম্মদ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা মজুমদার বলেন, কে বা কারা ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে সেটা আমরা জানিনা এবং তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। বাজার ইজারাদারদের মধ্যে মন্তু মেম্বারের বক্তব্য নিতে চাইলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। অবৈধ গন্ডি আদায়ের বিষয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী বলেন, ফুটপাতে বসা মুচি ও অন্যান্য অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যারা গন্ডি আদায় করছে তা সম্পুর্ন অবৈধ এবং এ বিষয়ে আমি শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ