বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

আটশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে মহানগরীর উন্নয়ন ও সেবার মান বৃদ্ধিতে কেসিসির মহাপরিকল্পনা

খুলনা অফিস : খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) আগামী পাঁচ বছরের জন্য উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যৎ ওই পরিকল্পনায় জলাবদ্ধতা নিরসন, সড়ক-ফুটপাথের উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলাসহ চিকিৎসা সেবা সম্প্রসারণের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। ইতোমধ্যে পরিকল্পনাগুলো ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শেষে প্রকল্প প্রস্তাব আকারে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন একনেকে অনুমোদন মিললে ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। কেসিসি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পগুলো অনুমোদন আর বাস্তবায়ন হলে নগরীতে নানা সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হবে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নগরীর দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসন ও ভৌত-অবকাঠামোগত উন্নয়নে বেশ কিছু কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। সেগুলো হলো, জলাবদ্ধতা নিরসনে ১০টি খাল ছড়িছড়া, হরিণটানা, তালতলা, লবণচরা ২নং খাল, নারকেল বাড়িয়া, ট্যাংক টার্মিনাল সংলগ্ন খাল, ওয়াপদাপাড়া, চৌধুরী দেয়ানা ও বাগমারা খাল খনন। ওই সব খালের মাথায় স্লুইচগেট নির্মাণ, রূপসা ঘাটে পাম্প হাউজ ও ৮৫ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ। মহানগরীতে ১০০ কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণ, মেরামত, উন্নয়ন ও ফুটপথ নির্মাণ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন অর্থাৎ বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ, পরিবহন ও শৈলো বাজার এলাকায় স্যানিটারী ল্যান্ডফিল নির্মাণ।
এছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৩৬টি মোড়ের উন্নয়ন, নাগরিক সুবিধা ওয়ার্ড পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য ৪টি মাতৃসদন কেন্দ্র নির্মাণ, সোনাডাঙ্গায় হরিজন শ্রেণী মানুষের বসবাসের জন্য স্থায়ী সেবক নিবাস নির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নদীর পানি শহরের মধ্যে প্রবেশ না করার জন্য শহর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ, ময়ূর, ক্ষুদে ও হাতিয়া নদী খনন, দুই পাড় বাঁধাই ও তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ। ময়ূর নদীর শ্মশানঘাট থেকে কবর খানা পর্যন্ত ছোট-বড় ১০টি ব্রীজ নির্মাণ। শহর সম্প্রসারণ এবং বস্তির উন্নয়ন অর্থাৎ বস্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, বস্তিবাসীদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ঋন প্রদান কর্মসূচি ইত্যাদি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ