রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

কাজিপুরে জলাবদ্ধতায় সাড়ে ৫শ’ হেক্টর জমি অনাবাদী

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা: অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট নির্মাণ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কাজিপুরের ৫টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৫শ’ হেক্টর জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। বছর ১০ আগেও যে সমস্ত জমিতে রোপা আমন ইরি-বোরোসহ অন্যান্য ফসল মিলে তিন ফসলি আবাদ করা হতো একন তা যেন শুধুই স্মৃতি। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে ঐ জমিগুলোতে শুধু মাত্র ইর-বোরো ধান ছাড়া আর কোন ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে খাদ্যে উদ্ধৃত কাজিপুর উপজেলা খাদ্যে ঘাটতি এলাকা হিসেবে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মওসুমে সোনামুখী ইউনিয়নের পাইকপাড়া, পাঁচগাছি, রৗহাবাড়ি, চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবডাঙ্গা, শ্যামপুর, বর্শিভাঙ্গা ও গান্ধাইল ইউনিয়রে কাচিহারা, মেরারপাড়া, বরইতলা, দুবলাই, খামার পাড়া এই সচ গ্রামে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে এলাকাবাসির সূত্রে জানা গেছে এক সময় বানিয়াজান খাল অনেকটাই খরস্রোতা ছিল। কাজিপুরসহ উজানের সারিয়াকান্দি এলাকার পানি বানিয়াজান খাল হয়ে গান্ধাইল ইউনিয়নের পূর্ব পাশ দিয়ে রতনকান্দি ইউনিয়নের চিলগাছা ও কুড়ালিয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে ইছামতি নদীতে গিয়ে পড়তো। অপর একটি পানির প্রবাহ গান্ধাইল গ্রামের সীমানা ঘেঁষে কালিকাপুর হয়ে ইছামতি নদীতে গিয়ে পড়তো। এখন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বাঁধ নির্মাণ করার কারণে পানির প্রবাহ বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। কাজিপুরের বাইখোলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ জানান, পানি প্রবাহের সবচেয়ে সংকট সৃষ্টি হয়েছে ২০০২ সালে বানিয়াজান খালের রতনকান্দি হাটের নিকট বন্যা নিয়ন্ত্রণের ওয়াবদার বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায়। ঐ স্থানে বানিয়াজান খালের মুখ বন্ধ করে দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করায় পানি প্রবাহ স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রাকৃতিকভাবে গান্ধাইল ইউনিয়নের কাচিহারা হয়ে একই ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মধ্যে আরেকটি খালের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসির অভিযোগ এই খালের নিকট মিরারপাড়া নামকস্থানে সরকারি জমি দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বাড়িনির্মাণ করায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কাজিপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ জানান, উপরোল্লিখিত স্থানসহ গান্ধাইল গ্রামের মাঝি পাড়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া খালের মুখ সংস্কার করা গেলে অত্র এলাকার জলাবদ্ধতা দূর হয়ে যাবে। এই ব্যাপারে অত্র এলাকার কৃষকরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ