বুধবার ০১ মে ২০২৪
Online Edition

কলাপাড়ায় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয় গ্রামের মানুষ ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে রোববার সন্ধ্যায় পর্যন্ত শত শত নারী-পুরুষ ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। ইটবাড়িয়া গ্রামের নির্মাণাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু সংলগ্ন ফসলি মাঠে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এ সময় কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিপূর্বে বলেছিলেন, কৃষি জমি নষ্ট করে কোনো উন্নয়ন হবেনা।
সেনাবাহিনীর কোনো কাজের জন্য জমি অধিগ্রহনের প্রয়োজন হলে, ইটবাড়িয়া গ্রামের তিন ফসলি কৃষি জমি বাদ দিয়ে পরিত্যক্ত বা চরাঞ্চলের জমি অধিগ্রহণ করতে পারে।
তা ছাড়া এ এলাকার মানুষ পুরোপুরি কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এসব জমি নষ্ট হয়ে গেলে সব মানুষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘পায়রা সমুদ্র বন্দর হোক তা আমরা চেয়েছিলাম। এ জন্য এলাকার মানুষজন সেচ্ছায় জমি দিয়েছে।
এখন খাল কেটে কুমির আনার মত আমাদের অবস্থা হয়েছে। সরকারের কাছে এসব কৃষি জমি অধিগ্রহন যাতে না হয়, সেজন্য দাবি জানাই।’
টিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু বলেন, ‘টিয়াখালী একটি ছোট্ট ইউনিয়ন। এখানে কৃষি জমি এমনিতেই কম। তারপরেও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে টিয়াখালী থেকে ১০৮ একর কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখন বাকি পরিমান কৃষি জমি সেনাবাহিনী নিয়ে গেলে জমির ওপর নির্ভরশীল মানুষগুলোর পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি নুরুল হক মুন্সি, সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানা, পৌর কাউন্সিলর মতিউর রহমান হাওলাদার, ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ আলী, এ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন, ক্রীড়া সংগঠক মো. জামাল আকন প্রমুখ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গেছে, সেনাবাহিনীর প্রকৌশল কোরের বেস ক্যাম্পের জন্য ইটবাড়িয়া মৌজার ইটবাড়িয়া গ্রামের বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধের ভিতর ও বাহির পাশ থেকে ৪২৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ওই এলাকার যেসব জমি অধিগ্রহণ করা হবে সেসব জায়গায় লাল, নীল, হলদু ও বেগুনি রঙয়ের পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল চন্দ্র দাস ভূমির অধিগ্রহণ বিষয়ে বলেন, সেনাবাহিনী হয়ত জমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রাথমিক চিন্তা-ভাবনা করছে। যার আলোকে নিশানা দিয়ে বোঝার সুবিধার্থে জমি চিহ্নিত করেছে। কিন্তু অধিগ্রহণ বিষয়ে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো অফিসিয়াল প্রস্তাব আসেনি।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ