তোপের মুখে তদন্ত থেকে সরে দাঁড়ালেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল
অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অভিযোগ ওঠায় নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ বিষয়ক তদন্ত কমিটি থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস।
বিতর্কিত হওয়ায় ডেমোক্র্যাটদের তোপের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই অ্যাটর্নি জেনারেল। ডেমোক্রেটদের অভিযোগ, জেফ মিথ্যা বলে শপথ নিয়েছেন। এই কারণে তার পদত্যাগ করা উচিত। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে তিনি এফবিআইএ এর এই কার্যক্রম তদারক করছিলেন।
সেশনস ১০ জানুয়ারিতে তার কনফার্মেশন হেয়ারিংয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছিলেন। বলেছিলেন রাশিয়ানদের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ হয়নি।
গত বুধবার রাতে একটি বিবৃতিতে তিনি আবারও বলেন, নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাশিয়ার কোনও কর্মকর্তার সঙ্গে তিনি কখনও সাক্ষাৎ করেননি। এ ধরনের অভিযোগ আসলে কী নিয়ে করা হচ্ছে তা তিনি জানেন না। এ অভিযোগ মিথ্যা।
কিন্তু মার্কিন বিচার বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা বলছে, সেশনস গত বছর একবার নয় দুইবার রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলায়াকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা বলছেন, নির্বাচনী প্রচারণায় ডেমোক্রেট দলের সংগঠনগুলোতে রাশিয়া অবৈধভাবে হ্যাকিং চালানোর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করতে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে সহায়তা করেছে।
সেশনসের আগে গত মাসে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা নিয়ে হোয়াইট হাউসকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বরখাস্ত হন।
গত বছরজুড়ে এরকম ২৫ জনেরও বেশি বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সেশনস বৈঠক করেছেন। কিন্তু রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার বৈঠকটি হয় এমন সময়ে যখন সেশনস তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের প্রচারশিবিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস কমিটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার অবৈধ হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে রাজি হওয়ার পরপরই অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশসনের রুশ যোগাযোগের বিষয়টি সামনে আসে।
তবে বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচনী প্রচারণায় রাশিয়ার কোন ধরণের হস্তক্ষেপের কথা প্রত্যাখান করে আসছে হোয়াইট হাউজ। রাশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ নাকচ করে আসছে।