শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

সাড়ে ৫শ’ পর্ণো সাইট বন্ধ করেছে বিটিআরসি

স্টাফ রিপোর্টার : অন্তত সাড়ে পাঁচশ’ পর্ণো ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত সোমবার সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ গতকাল বুধবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এসব পর্ণো সাইট বন্ধে মোবাইল ফোন অপারেটর, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়েসহ (আইআইজি) বন্ধের কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। তালিকাটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় তৈরি করে।

বিটিআরসির সচিব ও মুখপাত্র সারওয়ার আলম জানান, সরকারের নির্দেশেই পর্ণো সাইট বন্ধে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত সাইটগুলো আগে বন্ধ হবে বলে জানা গেছে। তিনি আরো বলেন, কোন সাইট ক্ষতিকারক তা যাচাইবাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি আছে, ওই কমিটির পর্যালোচনা ও নির্দেশের ভিত্তিতেই দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচশো পর্ণো সাইট বন্ধ করা হচ্ছে। দেশের যুবসমাজের অবক্ষয় রোধে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

দেশের সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধ বিবেচনায় নিয়ে পর্ণোগ্রাফি সাইটগুলো বন্ধের ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পের কথা বেশ কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এ লক্ষ্যে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত পর্ণো সাইটগুলো বন্ধের উপায় খুঁজতে ইতিপূর্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গঠিত কারিগরি কমিটিকে নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী। 

তবে তখন কয়েকটি দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে তারানা হালিমকে উদ্ধৃত করে এ সংবাদও প্রকাশ হয়, বাংলাদেশে পর্ণো সাইটে প্রবেশকারী ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করার কথা ভাবছে সরকার।

আর এ খবর নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারানা হালিম জানান যে ওই বক্তব্য তিনি দেননি। তারানা হালিম নিজের ফেসবুকের ভেরিফাইড পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘পর্ণো সাইটে প্রবেশকারীদের নামের তালিকা করার কোনো কথা কখনই বলিনি। এটি হবেও না। টেকনিক্যালিও সম্ভব নয়। মানুষের পরিচয় তথা ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা দিতে আমরা বাধ্য ও বদ্ধপরিকর।’

জানা যাচ্ছে, তালিকাভুক্ত সাইটগুলোর মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে পরিচালিত পর্ণোসাইটগুলোই বেশি, তবে কয়েকটি বিদেশি সাইটও রয়েছে তালিকায়।

বিটিআরসি বলছে, এ সংক্রান্ত কমিটি ওয়েবসাইটের তালিকা করাসহ পুরো বিষয়টি তদারকি করছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আরো পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ