রবিবার ০৫ মে ২০২৪
Online Edition

শাহজাদপুরের মশিপুর-সরিষাকোল ফাযিল মাদরাসা সমস্যার মধ্যেও উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান

এম,এ, জাফর লিটন, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে : অবকাঠামোগত নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে দীনি শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা রাখছে মশিপুর সরষিাকোল ফাযিল  মাদরাসা। অপেক্ষাকৃত উন্নয়নবঞ্চিত এই প্রতিষ্ঠানটি দেশপ্রেমিক সুযোগ্য আলেমেদীন তৈরীতে অনন্য ভূমিকা রাখছে। এবং শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রেও উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠপ্রতিষ্ঠানের আসনেও সমাসীন এই মাদরাসাটি। পাবনা-বগুড়া মহাসড়কের ধারে মশিপুর সরিষাকোল বাজারের দক্ষিণে  ১৯৪৯ সালে অত্র মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদরাসাটির মানবিক, বিজ্ঞান শাখা মিলে  শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৬২জন। শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা ৩৪জন। প্রতিবছর জেডেসি, দাখিল, আলিম, ফাযিল পরীক্ষায় অত্র মাদরাসার শিক্ষার্থীরা চমৎকার ফল লাভ করছে। সর্বাধিক জি,পি,এ-৫ সহ উপজেলা পর্যায়ে ফলের দিক থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে প্রতিবছর। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে মোট গড় পাসের হার ৯৫%। মাদরাসার সুরম্য ভবন ৩টি খেলার মাঠ ১টি মসজিদ ১টি। প্রায় ৫ একর জমি রয়েছে এই মাদরাসাটির। শাহজাদপুর উপজেলা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার উত্তরে এই মাদরাসার অবস্থান। বর্তমানে মাদরাসাটির অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং ২০১৬ সালে জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাদরাসা অধ্যক্ষ মাওলানা ফখরুল ইসলাম। এছাড়াও জেলা পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে অত্র মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা ফরিদ উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। যা এই মাদরাসাকে গৌরবান্বিত ও ধন্য করেছে।  মাদরাসার নানাবিধ সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে দৈনিক সংগ্রামের শিক্ষাঙ্গনের মুখোমুখী হন তিনি। নিম্নে  সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হলো।
শিক্ষাঙ্গন : বর্তমানে মাদরাসাটির শিক্ষাকার্যক্রম কেমন?
অধ্যক্ষ : উপজেলার যেকোনও প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এই মাদরাসার ফল অনেক ভালো। প্রতিবছর বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের মাধ্যমে আমাদের গৌরবান্বিত করছে।
শিক্ষাঙ্গন : বর্তমানে মাদরাসাটির কি কি সমস্যা রয়েছে ?
অধ্যক্ষ : অবকাঠামো, শ্রেণি কক্ষ,ভবন মাদরাসার প্রধানতম সমস্যা। এছাড়াও টিনসেড ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে পানি পড়ে ফলে ক্লাস করা সম্ভব হয়না। এছাড়াও কলেজের বাউন্ডারি, সেমিনার কক্ষ, নতুন ভবন নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন।
শিক্ষাঙ্গন : মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে কিনা ?
অধ্যক্ষ : এ মাদরাসা এরিয়ার বেশিরভাগ ছেলে-মেয়ে দরিদ্র। তাই প্রতিষ্ঠানের তেমন কোন ফান্ড না থাকা সত্ত্বেও ফরম পূরণসহ মাদরাসার বিভিন্ন প্রদেয় অর্থ সঠিকভাবে আদায় হয়না। তারপরেও নানা সঙ্কট পাড়ি দিয়ে মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
শিক্ষাঙ্গন : আগামীদিনে মাদরাসার সম্ভাবনা কি ?
অধ্যক্ষ : যেহেতু উপজেলা পর্যায়ে কামিল প্রতিষ্ঠান নেই তাই এই মাদরাসায় কামিল ক্লাস চালু করা এটি সময়ের দাবি। তাই এ জনপদের ছেলে-মেয়েরা যাতে সহজেই ফাযিল, কামিলে অনার্স মাস্টার্স লেখাপড়ার সুযোগ পায় তাই এলাকাবাসীর দাবি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অত্র মাদরাসায় ফাযিলে অনার্স চালু করা। অনার্স কোর্স চালু হলে অল্প খরচে  ছেলেমেয়েরা ইসলামী শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবে।
শিক্ষাঙ্গন :  সুন্দর সাক্ষাৎকারের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অধ্যক্ষ : আপনাকে এবং দৈনিক সংগ্রাম’কেও ধন্যবাদ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ