শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

ট্রাম্পের অভিযোগ নাকচ করে দিলো নিউইয়র্ক টাইমস

১৪ নবেম্বর, নিউইয়র্ক টাইমস : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ভুয়া প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের পাঠক সংখ্যা কমে গেছে; নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে ওই মার্কিন সংবাদমাধ্যম। স্থানীয় সময়  রোববার সকালে এক টুইটার পোস্টে করা ট্রাম্পের সেই দাবিকে নাকচ করে দেয় নিউইয়র্ক টাইমস। তারা দাবি করে, নির্বাচনের দিন থেকে তাদের গড় সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা চার গুণ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে এ পাল্টাপাল্টি দাবির কথা উঠে এসেছে। পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত রোববার সকাল ৯টা ১৬ মিনিটের দিকে একটি টুইট করেন ট্রাম্প। টুইটে বলা হয়, “বাহ, ‘ট্রাম্পের বিস্ময়’ নিয়ে খুব দুর্বল আর অযতার্থ সংবাদ প্রকাশের কারণে নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের হাজার হাজার সাবস্ক্রাইবার হারাচ্ছে। তবে  রোববারই পলিটিকোর কাছে পাঠানো ইমেইলে ট্রাম্পের দাবিকে নাকচ করে দেয় নিউইয়র্ক টাইমস কর্তৃপক্ষ। সংবাদমাধ্যমটির মুখপাত্র এইলিন মুরফি এক ইমেইলে দাবি করেন, ক্যানসেলেশনের প্রশ্ন যদি ওঠে তাহলে বলতে হবে নির্বাচনের দিন থেকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের নতুন ডিজিটাল ও প্রিন্ট সাবস্ক্রিপশনের গড় চার গুণ বেড়েছে। সাধারণত তিন মাস অন্তর নিজেদের সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস। আর সেকারণে নির্দিষ্ট করে সাবস্ক্রিপশন ও ক্যানসেলেশনের সংখ্যা প্রকাশ করতে রাজি হননি এইলিন। শুধু বলেছেন, বন্ধ করার চেয়ে সূচনাকারীর সংখ্যা অনেক বেশি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রকাশক আর্থার শুলজবার্গার শুক্রবার পলিটিকোর কাছে পাঠানো এক ইমেইলে বলেছিলেন, ‘বস্তুনিষ্ঠ’ আর ‘নিরপেক্ষ’ দৃষ্টিতে ট্রাম্পের খবর প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
শুলজবার্গার এবং সম্পাদক ডিন বাকোয়েট শুক্রবার সাবস্ক্রাইবারদের উদ্দেশ্য করেও একটি মেইল করেছিলেন। ওই মেইলে বলা হয়, ‘এ ধরনের অনিশ্চিত ও অপ্রত্যাশিত একটি নির্বাচনের পর কিছু অপরিহার্য প্রশ্ন উঠেছে: ডোনান্ড ট্রাম্পের আসল চরিত্র কি আমাদেরকে কিংবা অন্য সংবাদমাধ্যমকে ভোটারদের মধ্যে তার সমর্থন সম্পর্কে নেতিবাচক ভাবনায় প্ররোচিত করেছে।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ