বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

গ্রেফতার হয়রানি হুমকির অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকদের বিরুদ্ধে

চট্টগ্রাম অফিস : আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার মাধ্যমে গ্রেফতার-হয়রানি-আতংক তৈরির মাধ্যমে প্রচার কার্যক্রমে বাধা দান ও নির্বাচন প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছে মেয়র প্রার্থী মনজুর আলমের পক্ষে চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন। এ বিষয়ে দ্রুত রিটার্নিং অফিসারের কাছে নির্দেশনা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়। নির্বাচন কমিশনের চট্টগ্রামের রির্টানিং অফিসারের কাছে করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয় যে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলমের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, প্রচার ও ভোটারদের সচেতনামূলক কার্যক্রমে নেতৃত্বদানকারী থানা-ওয়ার্ড় পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের পুলিশসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে, বিনা অভিযোগে গ্রেফতার, হয়রানি, হুমকি-ধামকি প্রদান করছে। পুলিশের এহেন কার্যক্রম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিধিমালা-২০১০ এর বিধি ৮ এর (অর্থ, অস্ত্র ও পেশী শক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাইবে না) সুস্পষ্ট লংঘন। অথচ পুলিশসহ আইন-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা নগরীর প্রতিটি থানার এলাকায় মনজুর আলমের পক্ষে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের একটি তালিকা তৈরি করে তাদের গ্রেফতার-হয়রানী, হুমকী-ধামকির মাধ্যমে এলাকায় ভোটারদের মধ্যে ভীতি ও আতংক তৈরীর জন্য বাসা-বাড়ীতে রাত-বিরাতে অভিযান পরিচালনা করছে। সরকারী দলের প্রার্থীর সমর্থক বহু কর্মী বিভিন্ন মামলার আসামী যারা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে মেয়র প্রার্থী মনজুর আলমের নির্বাচনে কাজে বাধা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিস্ট অভিযোগ দায়ের সত্বেও কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করা হচ্ছে না। অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিনা কারণে গ্রেফতার হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। 
অভিযোগে বলা হয় উচ্চ আদালতের নির্দেশে এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় নগরীতে ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধ করা হলেও ড. হাছান মাহমুদ “ শীঘ্রই ব্যাটারী রিক্সা চলবে নগরীতে” বলে ঘোষণা দিয়ে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান।  নগরীর ব্যস্ততম সড়ক বন্ধ করে সমাবেশের কারণে দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা ধরে জনদুর্ভোগ চরমে উঠে। তিনি সেখানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী আলহাজ¦ মনজুর আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে শ্রমিকদের উস্কানি প্রদান করেন। এ ধরনের “মহসমাবেশ” অনুষ্ঠান, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ভোট দেয়ার জন্য প্রলুব্ধ করা এবং কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা ও ব্যক্তিগত চরিত্রহনন নির্বাচনী আচরণ বিধি’র সুস্পষ্ট লংঘন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ