সোমবার ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
Online Edition

আইনজীবী সাইফুল হত্যার নেপথ্যের খুনিদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে

চট্টগ্রামের আদালত চত্বরে ইসকন কর্তৃক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলীফ হত্যার বিচারের দাবিতে গতকাল বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার: উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন ইসকন কর্তৃক মসজিদ ও আদালতের স্থাপনা ভাঙচুর এবং বিচারালয় প্রাঙ্গণে এডভোকেট শহীদ সাইফুল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে খুনিদের বিচার ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন সংগঠন। বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে সন্ত্রাসী ও জঙ্গী সংগঠন হিসেবে ইসকনকে নিষিদ্ধ করা এবং আইনজীবীর খুনী ও নেপথ্যদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য দাবি জানানো হয়।
গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে উত্তর গেইটে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর। এতে ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদের সামনে জুমার নামাযের পক্ষ বিক্ষোভ সমাবেশ হয় এবং চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ হয়।
বায়তুল মোকাররমের সমাবেশে ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক তার বক্তব্যে বলেন, এই বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে আমরা আমাদের হৃদয়ের ব্যথাটুকু জাতির সামনে, মানুষের বিবেকের সামনে উপস্থাপন করার জন্য এখানে সমবেত হয়েছি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এটা আমাদের বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না যে আজকে সুপরিকল্পিত একটি সাম্প্রদায়িক উস্কাণীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর পায়তারা চালানো হচ্ছে। শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুধু বর্বর নয়, বরং একটি  ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড। চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে দিবালোকে আদালত চত্বরে সন্ত্রাসী সংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সরকারি একজন তরুণ আইনজীবী কর্মকর্তাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে হত্যা করবে এইরকম বরবরতার দৃশ্য দেখার জন্য বাংলাদেশ মোটেও প্রস্তুত নয়।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, মানুষের এই ক্ষোভ, মানুষের হৃদয়ের এই রক্তক্ষরণকে আপনারা বুঝবার চেষ্টা করুন। যে সকল হত্যাকারীকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকেই শুধুমাত্র বিচারের আওতায় আনলে চলবে না। এক্ষেত্রে আমাদের স্পষ্ট দাবি হলো, এই ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, সেই নেপথ্যের খুনিদেরকে বের করে তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করতে হবে। তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। শহীদ আলিফের হত্যাকান্ডে জড়িত  ইসকনের স্পষ্ট মদদদাতা খুনি হাসিনাকে আসামী করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বিগত ১৫ বছ দেখেছি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ প্রতিটি বিষয়ে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বর্জিত অসৌজন্যমূলকভাবে চরম নগ্ন হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে কিভাবে আহত ও ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছে ভারত। আমরা ভারতরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতির তীব্র সমালোচনা করছি। ভারকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, বাংলাদেশের ব্যাপারে আপনারা নীতি পরিবর্তন করুন। অন্যথায় গোটা বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষ রাজপথে নেমে আসবে এবং ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমরা বলতে চাই, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কার তৎপরতায় এসব করছে, তা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। সে ভিন্ন দেশের গুপ্তচর হিসেবে ভূমিকা পালন করছিল। বারবার সে তার প্রভুর দেশে গিয়ে সেখান থেকে দিকনির্দেশনা নিয়ে বাংলাদেশে এসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পায়তারা চালিয়েছে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ভারতের আশ্রয়ে, প্রশ্রয়ে এবং আওয়ামী লীগের প্রযোজনায় ইসকন তৈরি করা হয়েছে। এই ইসকনকে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং ভারতকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে, বাংলাদেশ কখনো তোমাদের সন্তানদের কাছে মাথা নত করবে না। একইসাথে ইসকনসহ ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের সকল যড়যন্ত্র থেকে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, ইসকন কোনো হিন্দু সংগঠন নয়, তারা একটি জঙ্গি সংগঠন। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে পতিত সরকার হয়ে কাজ করছে। এছাড়া ভারত এই দেশকে বিপথগামী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সেটা কখনোই সফল হতে দেয়া যাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, মুসলমানরা ৮০০ বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছে। যদি আমরা সেই সময় হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালাতাম, তাহলে আজ ভারতবর্ষে একজন হিন্দুকেও খুঁজে পাওয়া যেত না। অথচ ইতিহাস সাক্ষী, সেই শাসনকালেও হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ছিল। বর্তমানে, আমার দেশের ফ্যাসিবাদী সরকার যখন হিন্দুস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছে, তখনই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের মিথ্যা নাটক তৈরি করে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ কাজের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ববাসীর সামনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। তিনি বলেন, আমি আমার হিন্দু ভাইদের বলতে চাই, আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের মতো সংগঠনগুলো কাজ করছে। কিন্তু আমরা, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এবং মাদ্রাসার ছাত্ররা, সর্বদা আপনাদের পাশে থেকেছি। এমনকি আপনাদের মন্দির রক্ষার জন্য পাহারা দিয়েছি। সম্প্রতি দুর্গাপূজা উদযাপন হয়েছে। আমরা বাংলাদেশে নির্ভিগ্নে, শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে দুর্গাপূজা পালন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করেছি। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারতে অনেক জায়গায় হিন্দুরা পূজা পালন করতে পারেননি। আমরা আপনাদের নাগরিক ভাই হিসেবে মনে করি এবং বাংলাদেশে আপনাদের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনাদের মধ্যে থেকে প্রধান বিচারপতির মতো উচ্চপদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। তাতে আমরা কোনো আপত্তি করি নাই। তিনি আরো বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যদি কেউ ইসলাম এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোনো চক্রান্ত করে, সেই ষড়যন্ত্র আমরা মূলোৎপাটন করব। আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল হয়ে থাকবে। সবশেষে  বলতে চাই, আসুন, আমরা মিলে-মিশে শান্তি, সম্প্রীতি এবং উন্নতির পথে এগিয়ে যাই। এ সময় মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা জালালুদ্দিন আহমাদ, মুফতী জাবের কাসেমী, মাওলানা লোকমন মাজহারী, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, মুফতী কামাল উদ্দীন, মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান, মাওলানা মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
সিলেটে বিক্ষোভ : জুলাই গণহত্যা, আইনজীবী হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটে ছাত্র জমিয়তের বিক্ষোভ মিছিল। ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ উপলক্ষে জুলাই গণহত্যার বিচার ও আদালত প্রাঙ্গণে এডভোকেট শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচার নিশ্চিতকরণ এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট জেলা উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর এর যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। শুক্রবার বাদ জুমুআ, সিলেট বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে শুরু হওয়া এই মিছিল কয়েকটি পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে কোর্টপয়েন্ট মসজিদের সামনে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্র জমিয়ত সিলেট মহানগরীর সভাপতি আবুল খয়েরের সভাপতিত্বে ও জেলা উত্তরের সভাপতি জাকির হুসাইন এর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন ছাত্র জমিয়ত সিলেট জেলা দক্ষিণের সভাপতি কাওছার আহমদ।
বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানকে নশ্বাৎ করতে তৎকালীন পেটুয়াবাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে এর বিচার করতে হবে এবং জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে রাষ্ট্রায়ীভাবে নিষিদ্ধ করত তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফকে ইস্কনকর্তৃক নৃশংসভাবে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিতকরণ এবং মসজিদে হামলাকারীদেরকেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান। সাথে সাথে সিলেটে ইসকনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন এবং ইসকনের ক্ষেত্রে প্রশাসন ও জনসাধারণকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, জমিয়ত জেলা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মুফতি এবাদুর রহমান, জমিয়ত নেতা সৈয়দ সালিম কাসেমী, সাবেক ছাত্রনেতা এড. রেজাউল করিম রেজা, জমিয়ত সিলেট উত্তরের প্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সিলেট দক্ষিণের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাসান বিন ফাহিম, সিলেট মহানগর জমিয়তের ছাত্র বি. সম্পাদক লুৎফুর রহমান, যুব জমিয়ত নেতা আব্দুল করিম দিলদার, মহানগর ছাত্র জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ছাত্র জমিয়ত সিলেট জেলা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নোমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ প্রমুখ।
পাবনা সংবাদদাতা : ইসকনের জঙ্গি তৎপরতা ও রাষ্ট্রদ্রোহীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনার নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মেইন গেট থেকে বিক্ষোভটি শুরু করে আলিয়া মাদ্রাসা, শহীদ চত্বর, পাবনা প্রেসক্লাব রোড ধরে ইন্দারা মোড় হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে  শহীদ চত্বরে একটি  সমাবেশ করে। সমাবেশের বক্তারা অনতিবিলম্বে ইসকনের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ এর হত্যাকান্ডসহ যাবতীয় জঙ্গী তৎপরতার বিচার দাবি করেন। অন্যতম সমন্বয়ক বরকতুল্লা ফাহাদ বলেন কাউকে দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না, জীবনের বিনিময় দেশ স্বাধীন হয়েছে দেশ রক্ষার প্রয়োজনে পুনরায় আমরা জীবন দিব। বরকাতুল্লাহ ফাহাদ বলেন ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার বিচারের মাধ্যমে দেশের জনগণ স্বস্তি পাবে।
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামে আইনজীবি সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সর্বস্তরের মুসলিম তৌহিদী জনতা। শুক্রবার বাদ জুমা হায়দার শপিং কমপ্লেক্সের সামনে মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও যুব নেতৃবৃন্দ। পরে মিছিলটি মহাসড়কের নতুন ও পুরাতন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে বাজারের আশ-পাশের ১০টি মসজিদের মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
জুড়ী (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে জুড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। শুক্রবার মৌলভীবাজারের জুড়ী শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভা করেন তারা। সভায় উপজেলা চত্বর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জহির উদ্দিন, শিক্ষার্থী তারেক মিয়া, আফজাল হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভায় বক্তারা বলেন, ভারতের ইন্ধনে সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী দেশের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। ভারত ও পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ধর্মীয় জঙ্গী সংগঠন ইসকন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করাসহ আইনজীবী হত্যা ও চট্রগ্রামে সন্ত্রাসী তান্ডবের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা : সন্ত্রাসী ও জঙ্গী সংগঠন ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ইত্তেহাদুল ওলামা রুপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ভুলতা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জুমার নামাযের পর মুসুল্লিরা দলে দলে মিছিল নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদান করে সমাবেশকে জনসমাবেশে পরিণত করেন।
সাঁথিয়া (পাবনা) সংবাদদাতা : ইসকন নিষিদ্ধ ও আইনজীবী আলিফ হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে পাবনার সাঁথিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাঁথিয়ার সর্বস্তরের জনগণ। সাঁথিয়া উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে শুক্রবার বাদ জুমা সাঁথিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ

string(11) "18.97.9.171"