বাফুফের সদস্য পদে মনি- এখলাস ভোট লড়াই ৩০ নভেম্বর
স্পোর্টস রিপোর্টার: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩০ নভেম্বর। ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী একটি সদস্য পদে (সাইফুর রহমান মনি এবং সংগঠক এখলাসউদ্দিন) দু‘জন সদস্যের ভোট (৬১) সমান হওয়ায় প্রযোজনীয়তা দেখা দিয়েছে এই একটি পদে পুনরায় নির্বাচনের।
মনি জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার। বর্তমানে কোচিং পেশায় জড়িত। অপরদিকে এখলাসউদ্দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের (ডিএফএ) সভাপতি।ফুটবলের উন্নয়নে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করছেন।তাঁর প্রচেষ্টায় চুয়াডাঙ্গা প্রায় এক দশক পর ২০২৩ সালে চুয়াডাঙ্গা লিগ আয়োজন করে প্রশংসিত হয়েছেন। এছাড়া নিজ জেলায় সারা বছর ফুটবল মাঠে রাখায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন।
৩০ অক্টোবর পুনঃনির্বাচনে বাফুফে’র ১৫তম সদস্য হিসেবে কে নির্বাচিত হবেন,সেটা সময়েই বলে দেবে।যদিও মনি এবং এখলাস দু‘জনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।এখলাসউদ্দিন জানিয়েছেন,’২৬শে অক্টোবর রাতে নির্বাচনের ফলাফল জানার পরেই আমি আবার নির্বাচন শুরু করেছি। আমি প্রতিদিন সম্মানিত ডেলিগেটদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমার বিশ্বাস তারা আমাকে বিমুখ করবে না।’
সাবেক ফুটবলার মনি জানিয়েছেন,’আমি ন্যাশনাল টিমের সাবেক ফুটবলার। আমার পরিচিতিটাও বেশী। যদিও আমি ইতোপূর্বে দুইবার নির্বাচনে অংশ নিয়েও জয় পাইনি। অন্যদিকে এখলাসউদ্দিন প্রথমবার নির্বাচনে এসেই টাই করেছে আমার সাথে। আসলে নির্বাচন ভিন্ন বিষয়। আমি তো আমার চেয়ে এখলাস ভাইকেও স্ট্রং প্রার্থী বলবো। তবে ডেলিগেটরা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো করে চেনে। তাই আমি পুনঃনির্বাচনে জয়ের আশা করতেই পারি।‘
এখলাস উদ্দিন জানিয়েছেন, ’মনি ভাই সাবেক ফুটবলার। বর্তমানে কোচিং পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন। ঢাকায় ক্লাবের সাথে জড়িত। ঢাকার ক্লাবগুলোর সাথে তার যোগাযোগ নিবিড়। তবে আমি মনে করি, আমরা যারা জেলা বা তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবল নিয়ে কাজ করি, তারা সংগঠক হিসেবে অনেক বেশী পারদর্শী। শুধুমাত্র সুযোগের অভাবে তারা জাতীয় পর্যায়ে উঠে আসতে পারেন না। নইলে তারাও দেশের ফুটবল উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম।‘
বাংলাদেশের ফুটবল বর্তমানে অনেকটাই ব্যাকফুটে।ঝিমিয়ে পড়া ফুটবল জাগাতে তৃণমূল পর্যায়ে জোর দেয়ার কোন বিকল্প নেই।তাই ফুটবল সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন সংগঠকদের অংশগ্রহন বাড়ানো উচিত।ফুটবলের উন্নয়নে সাবেক ফুটবলারদের কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে,কিন্তু সেক্ষেত্রে সংগঠকদের সুযোগ কম। মনি হেরে গেলেও হারিয়ে যাবেননা।ফুটবল উন্নয়নে নানাভাবে কাজ করতে পারবেন। তাই জেলা থেকে উঠে আসা গাঁটের পয়সা খরচ করে ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করা এখলাস উদ্দিনকে ফুটবলে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই মনে করছেন ফুটবল সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচনে। বিপুল ভোটে বাফুফে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। অবসান ঘটেছে বাফুফে সভাপতি হিসেবে কাজী মোঃ সালাহউদ্দিনের দীর্ঘ ১৬ বছরের রাজত্বের।এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মোঃ নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরি,সাব্বির আহমেদ আরেফ ও ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম।