কবিতা
লেখাপড়া
শ.ম. শহীদ
বাবা বলেন- জীবনের এক
লক্ষ্য থাকা চাই
ভাবছি আমি বড় হয়ে
কী যে হবো তাই!
ডাক্তার নাকি ইঞ্জিনিয়র
কোনটা ভালো হয়
শিক্ষকতাও দারুণ পেশা
জ্ঞানি জনে কয়!
ভাবি আবার বিজ্ঞানীদের
আবিষ্কারের নেশা
নাকি বিমান চালক হয়ে
করবো শুরু পেশা!
আম্মু বলেন-হও না যেটাই
আগে লেখাপড়া,
বিদ্যা ছাড়া কোন পেশা-ই
দিবে না যে ধরা।
কাঠবিড়ালি
সাঈদুর রহমান লিটন
কাঠবিড়ালি গাছের ডালে
ভোর বিহানে সন্ধ্যা কালে
জাম্বুরা ফল খায়,
গাছের তলায় দেখলে মানুষ
আড়নয়নে চায়।
কুটুস কুটুস ফোকলা দাঁতে
ফল খেয়ে যায় সবার সাথে
একটু খেয়ে ফেলে,
ফুড়ুৎ করে যায় হারিয়ে
একটু তাড়া খেলে।
আলাভোলা দেখতে ভালো
গায়ের রঙ তার ডোরাকালো
সবার আপন জন,
এদিক ওদিক ছুটে গিয়ে
মাতে সবুজ বন।
হেমন্তের চিঠি
মুহাম্মদ রফিক ইসলাম
ঘাসের ডগায় শিশির যখন
সোনা রোদে উঠল হেসে,
তখন না-কি আসল চিঠি
আসল উড়ে হাওয়ায় ভেসে।
গাছের পাতা খুলল তখন
পড়ল বসে পাখ-পাখালি,
ফুলের শোভা পড়ল খসে
অলির সাথে খুব মিতালি।
নতুন ধানের গন্ধে যখন
উঠোনখানি যায় ভরিয়ে,
হেমন্তেরই রূপের বাহার
কৃষক মনে যায় ছড়িয়ে।
মৃদু শীতের চাদর গায়ে
কৃষাণী কী ব্যস্ত কাজে?
হেমন্তের ওই কোমল চিঠি
ঝংকৃত হয় বুকের মাঝে।
নবান্নে
অপু বড়ুয়া
মাঠে মাঠে সোনার ধান
উপচে পড়ে খুশির বান।
হাওয়ায় ভাসে সুর গানের
পড়ল সাড়া নবান্নের।
গাঁও-গেরামে সুখের ধুম
কারোর চোখে নেইরে ঘুম।
কাজের তাড়া সব পাড়ায়
ধান মাড়াইয়ে রাত্রি যায়।
ঢকর ঢকর ঢেঁকির সুর-
যায় ভেসে যায় অনেক দূর।
পায়েশ পিঠা মুড়কি খই
আসছে দেখো কুটুম ওই।
শীত
মোহাম্মদ শামীম মিয়া
শীত শীত সবখানে আজ
লাগছে ভীষণ ঠান্ডা যে,
খাচ্ছি তো তাই পিঠাপুলি
খাচ্ছি ভাজা আন্ডা যে।
খেজুর রসে কলস ভরে
রস নিয়ে যায় বাজারে,
খেত ও খামার সবজি ভরা
ভীষণ তা তরতাজারে।
শিশিরগুলো বরফ হয়ে
জমে ওঠে আনমনে,
শীতের আমেজ করছে বিরাজ
শীতের তো নেই টান মনে।
শীত শীত শীত কাঁপছে যে হাড়
শীত চলেছে দাপটে,
এরই মাঝে চলছে জীবন
শরীরজুড়ে কাঁপ ওঠে।
শিশির ভেজা ঘাসে
রাশেদ নাইব
শীতের দিনের এই সকালে
শিশির ভেজা ঘাসে,
রবির আলো আসতে দেখে
মুচকি মুচকি হাসে।
চারিদিকে কুয়াশাময়
যাচ্ছে কিছু উড়ে,
শীতল বায়ু হচ্ছে গরম
রাখতে ঠান্ডা দূরে।
কচি ডগায় হরেক পুষ্প
ফুটছে হেসে হেসে,
মিষ্টিমধুর প্রকৃতিময়
আমার বাংলাদেশে।
মুখরিত ভোর
মাহমুদুল হাসান মুন্না
শালিকের কাকলিতে
মুখরিত ভোর,
ফুলে ফুলে প্রজাপতি
উড়ছে ভোমর।
ঘাসে ঘাসে শিশিরের
স্নিগ্ধ আবেশ,
মুগ্ধতায় এ ঊষা
কাটে অনিমেষ।
সুয্যিটা উঁকি মারে
মিষ্টি কিরণ,
মেঠোপথ ধুলি যেন
নিখাঁদ হিরণ।
মাঠজুড়ে গাছজুড়ে
পাখি আর পাখি,
সবুজের সমারোহে
প্রিয় দেশ আঁকি।
ও পাখি তুই
শামসুন্নাহার সুমনা
ও পাখি তুই আয়না কাছে,
আয়না আমার সাথে
খোকার সাথে করবি খেলা,
সকাল দুপুর রাতে।
খিদে পেলে এদিক সেদিক,
হবে না আর যেতে
খোকার সাথে অনেক খাবার,
রোজ ই দেব খেতে।
গাল ফুলিয়ে যখন খোকা,
করবে ভীষণ কান্না
করবি মজা ভাঙাবি মান,
দেবো হীরা পান্না।
খোকার ঘরে বানাই দেবো,
সুন্দর একটা ঘর।
থাকবি সেথায় খোকার সনে,
সারা জনম ভর।