ঢাকা, সোমবার 02 December 2024, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী
Online Edition

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী: স্বকীয়তায় ফিরিয়ে আনতে কিছু প্রস্তাবনা

সংগ্রাম অনলাইন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পটভূমি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা  উত্তর প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে একটি ভাঙ্গা গড়ার ইতিহাস। যে ইতিহাস আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। এখন তো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। সংসদের একই অধিবেশনে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য মিটিং মিছিল সংগ্রাম আন্দোলন দাবী দাওয়া করেও অপেক্ষা করতে হয়েছে সূদীর্ঘ ৭৫ বছর।

শিক্ষা দীক্ষায় মুসলমানগণ যখন একেবারে পিছিয়ে পড়েন তখন কয়েকজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম শিক্ষানুরাগী এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৯০৩ সালে (নবনূর) পত্রিকার সম্পাদক সৈয়দ এমদাদ আলী, সৈয়দ আমীর আলী, সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী প্রমুখ মুসলমানদের জন্য একটি স্বতন্ত্র মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করেন।

১৯১২ সালে ঢাকায় একটি আবাসিক মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবীর পর থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত মওলানা আকরম খাঁ কমিশনসহ গঠিত প্রায় সকল কমিশনেই একটি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে।

ড. এম.এ বারী কমিশন ১৯৭৭ সালের ২০ অক্টোবর দেশে একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে রিপোর্ট পেশ করেন।  সুপারিশের আলোকে  তৎকালীন  রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে২২ নভেম্বর কুষ্টিয়ার শন্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে ১৭৫ একর জমিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

 রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান  মুসলমানদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়ণ করার জন্য দেশ জাতির কাছে তিনি স্মরণীয় বরণীয় হয়ে ওঠেন।

কিন্তু রাজনৈতিক গ্যাঁড়াকলে পড়ে শিশু বিশ্ববিদ্যালয়টি কুষ্টিয়া-গাজীপুরের মাঝে ঘুরতে থাকে । পরিশেষে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরেই বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯১ সালে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির রূপরেখা বৈশিষ্ট্য কি হবে কি হওয়া উচিত সেটা নাম দেখেই বুঝা যায়। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো এদেশে ত্রিশোর্ধ্ব বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় চরিত্র বৈশিষ্ট্যৈর দিক থেকে আপন স্বকীয়তায় ভাস্বর থাকলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই আসল রূপ আর আজ তেমন নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অনুষদ ৮ টি। বিভাগ (থিওলজি অনুষদের তিনটিসহ) ৩৬টি। হল ৮টি(ছাত্রী হল ৩টি) ছাত্রছাত্রীর (বিদেশি ২৫ জনসহ) সংখ্যা ১৫০৯৯।  এম ফিল গবেষণারত ৯৫ জন। পিএইচডি গবেষণারত ২৫৫ জন। এমফিল ডিগ্রীপ্রাপ্ত ৭২৪ জন। পিএইচডি ডিগ্রীপ্রাপ্ত ৫৯৯ জন। ২৫ জন মহিলা শিক্ষকসহ মোট শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা ৪০৪জন। কর্মকর্তা ৪৯৯ জন। কর্মচারীর সংখ্যা ২৬৭ জন। বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. নকিব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

উদ্দেশ্যবলী: ড. এম এ বারী কমিশনের রিপোর্টে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার যে মূল উদ্দেশ্য উল্লেখ ছিল তা হল:

(১) কলা ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় সাধন করা। (২)নতুন আঙ্গিকে মাদরাসা শিক্ষা যুগোপযোগী করে এর উন্নতি সাধন করা। (৩) ইসলামী শিক্ষার বিভিন্ন শাখায় উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার ব্যবস্থা করা। (৪) দ্বিমুখী শিক্ষা পদ্ধতির বিলুপ্তি ঘটিয়ে মুসলিম সমাজে ঐক্য স্থাপন করা। (৫). ইসলামী শিক্ষা প্রবর্তনের মাধ্যমে তথাকথিত অনৈসলামিক ও ইসলামী শিক্ষার বিরোধ অবসান করা। (৬) মুসলিম মনীষী সৃষ্টির মাধ্যমে গোটা পরিবেশ ইসলামী শিক্ষার পুনর্জাগরণ করা। (৭) ইসলামী শিক্ষা এবং মানবিক ও বিজ্ঞান বিষয়ে পারদর্শী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এমন ছাত্র তৈরি করা যারা কর্ম জীবনে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হতে পারবে এবং ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি আস্থাশীল জনগণের আশা আকাঙ্খা পুরণ করতে সক্ষম হবে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবনা: বর্তমানে আমাদের দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অনুযায়ী ষাটোর্ধ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বার্ষিক বিবরণী ২০২২তে এর বিবরণ ৫৩ টির। এরমধ্যে ৩৪ টি হল বিশেষায়িত তথা মেডিকেল কৃষি টেক্সটাইল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বাকি ১৯ টি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো বিশেষায়িত না হলেও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে (মেডিকেল এবং টেক্সটাইল ছাড়া) বিজ্ঞানের যত সাবজেক্ট রয়েছে কমবেশি প্রায় সবগুলোই রয়েছে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত  হয় সাধারণ জ্ঞানের সাথে ঐশী শিক্ষার সমন্বয় করে নতুন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার জন্য। যাতে এ শিক্ষা লাভ করে  শিক্ষার্থীরা এমন সুশিক্ষিত সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবেন যারা হবেন মুসলিম জাতির জন্য বড় সম্পদ ।

তারা একাধারে মসজিদে যেমন ইমামতি করবেন তেমনি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বর্তমান বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রযুক্তিতেও তেমনি অবদান রাখবেন । এবং সাথে সাথে একজন দেশপ্রেমিক নিষ্ঠাবান সচ্চরিত্রবান দক্ষ প্রশাসক হিসেবেও দেশ পরিচালনা করবেন।

আসলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বলতে যেটা বোঝায় সে বিষয়টি সরকার থেকে সাধারণ জনগণের কাছে মোটেই পরিষ্কার নয়।

সবার কাছে এটি বদ্ধ মূল ধারণা যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মানে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই একটি ইসলামের সাবজেক্ট থাকবে। যা গত ৪৫ বছর থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান রয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ অবস্থায়  হাজার বছরও  চলতে থাকলেও জ্ঞানের কখনো ইসলামাইজেশন হবে না। পৌঁছতে পারবে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  তার মূল লক্ষ্যে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে দুটি পদ্ধতি  অবলম্বন করা যেতে পারে।

এক. ইসলামী বিষয়ে অনুষদ ও বিভাগ বৃদ্ধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় করতে এটিকে শুধু  থিওলজি অনুষদে সীমাবদ্ধ না রেখে  অনায়াসেই নিম্নের শিরোণামে ২০টি অনুষদে  চালু করা যেতে পারে।  মদীনাসহ বিশ্বের কয়েকটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরণের কয়েকটি করে অনুষদ রয়েছে।

প্রস্তাবিত ২০ টি অনুষদ হল-

১. কুল্লিয়াতুল কুরআন বা আল-কুরআন অনুষদ

২. কুল্লিয়াতু উলূমিল কুরআন বা কুরআনিক সাইন্স অনুষদ

৩. কুল্লিয়াতু উলূম ফিল কুরআন বা সাইন্স ইন দ্যা হলি কুরআন অনুষদ

৪. কুল্লিয়াতু বালাগাতিল কুরআন বা আল-কুরআনে অলংকারশাস্ত্র অনুষদ

৫. কুল্লিয়াতু ফালসাফাতিল কুরআন বা কুরআনিক দর্শন অনুষদ

৬. কুল্লিয়াতুত তাফসীর বা তাফসীর অনুষদ

৭. কুল্লিয়াতু কিরাআতিল কুরআন বা মেথডোলজি অব কুরআন রিসাইটিং অনুষদ

৮. কুল্লিয়াতুল হাদীস বা আল-হাদীস অনুষদ

৯. কুল্লিয়াতুল অসুলিল হাদীস বা আল-হাদীসের মূলনীতি অনুষদ

১০. কুল্লিয়াতুত দাওয়াহ বা আদ দাওয়াহ অনুষদ

১১. কুল্লিয়াতু মুকারানাতিল আদইয়ান বা তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব ।

১২. কুলিয়াতু ফাল সাফাতিস সিয়াসাহ ফিল কুরআন বা আল কুরআনে রাজনীতি দর্শন অনুষদ

১৩. কুলিয়াতুত ফাল সাফাতিত তারিখ ফিল কুরআন আল কুরআনে ইতিহাস দর্শন অনুষদ

১৪. কুলিয়াতু সিরাতিল আম্বিয়া ফিল কুরআন বা আল কুরআনে নবী চরিত অনুষদ

১৫. কুল্লিকুলিয়াতু ইলমুল বিইয়া কুরআন বা  আল কুরআনে পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদ

১৬. কুলিয়াতু আলফালসাফা আল আখলাকিয়া ফিল কুরআন বা আল কুরআনে নীতিদর্শন অনুষদ

১৭. কুলিয়াতু আলফালসাফা আল এক্তেসাদিয়া ফিল কুরআন বা আল কুরআনে অর্থদর্শন অনুষদ

১৮. কুলিয়াতু আলফালসাফা আল ইজতেমাইয়া ফিল কুরআন বা আল কুরআনে সমাজদর্শন অনুষদ

১৯.  কুলিয়াতু আলফালসাফা আল কানুনিয়া ফিল কুরআন বা আল কুরআনে আইনদর্শন অনুষদ

২০. কুলিয়াতু ফালসাফাতিদ দাওলা ফিল কুরআন বা আল  কুরআনে রাষ্ট্রদর্শন।

সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিষয়ক তিন থেকে ৫ টি অনুষদ রয়েছে। এরপরেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে বিশেষায়িত এক্সপার্ট তৈরির জন্য আরো ৩৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

অথচ দেশের ৯০% মুসলিম রাষ্ট্রে একমাত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তাতেও আবার জন্ম থেকে অদ্যাবধি ৩টি বিভাগ। আর অপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু বিভাগসহ আরো ৩৩ টি বিভাগ খোলা হয়েছে।

বিষয়টি এদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠির জন্য সত্যিই পরিতাপের বিষয়। তাই অনতিবিলম্বে এসব অনুষদ খোলে এগুলোর অধীনে ৫/৬ টি করে বিভাগ চালু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ রূপদান করা যায়।

দুই. কলা সমাজ বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান বিষয়ক সাবজেক্টগুলোতে কুরআন ও হাদিসের আলোকে ঢেলে সাজানো: দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মুসলিম বিধায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সাধারণ সাবজেক্টে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির প্রতিফলন থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিজ্ঞান ও বাণিজ্য অনুষদের প্রতিটি বিভাগে ইসলামী শিক্ষা বিষয়ে দুটি পত্র বাধ্যতামূলক থাকবে। 

এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ অনুসারে আল কুরআনের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এ সাবজেক্টগুলোতে অন্তত:  নিম্নে বর্ণিত কোর্স হতে ২/৪ টি করে কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা যেত।

১.কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে প্রস্তাবিত কোর্সগুলো হল- ইসলামে অর্থ ব্যবস্থা, ইসলামে রাষ্ট্র ব্যবস্থা, ইসলামে সমাজ ব্যবস্থা, আল-কুরআনে প্রত্নতত্ত্ব, আল-কুরআনে নীতি দর্শন,  আল-কুরআনে ইতিহাস দর্শন, আল-কুরআনে ব্যক্তি দর্শন, আল-কুরআনে পরিবার ও পারিবারিক দর্শন, আল-কুরআনে সমাজ দর্শন, আল-কুরআনে রাষ্ট্র দর্শন, আল-কুরআনে পররাষ্ট্র নীতি, আল-কুরআনে সমর দর্শন, আল-কুরআনে শিক্ষা দর্শন, আল-কুরআনে গবেষণা পদ্ধতি ইত্যাদি।

২.বাণিজ্য অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে প্রস্তাবিত কোর্সগুলো হল- ইসলামে বণ্টন ব্যবস্থা, ইসলামে ব্যংকিং ব্যবস্থা, ইসলামে কর ও ট্যাক্স ব্যবস্থা, ইসলামে ব্যবসা-বাণিজ্য, আল-কুরআনে বাণিজ্যনীতি,  আল-কুরআনে ধনবিজ্ঞান ইত্যাদি।

৩.আইন অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে প্রস্তাবিত কোর্সগুলো হল- ইসলামে ভূমি ব্যবস্থা আইন, ইসলামে উত্তরাধিকার আইন, ইসলামের দন্ড আইন ইসলামে পারিবারিক আইন ইত্যাদি।

৪. বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে প্রস্তাবিত কোর্সগুলো হল- আল-কুরআনে প্রাণী বিজ্ঞান, আল-কুরআনে কীটপতঙ্গ, আল-কুরআনে ভূ-বিজ্ঞান, আল-কুরআনে ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান,  আল-কুরআনে উদ্ভিদ বিজ্ঞান,  আল-কুরআনে মহাকাশ বিজ্ঞান, আল-কুরআনে সৌরবিজ্ঞান,  আল-কুরআনে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান,  আল-কুরআনে  পরিবেশ বিজ্ঞান, আল-কুরআনে আবহাওয়া বিজ্ঞান, আল-কুরআনে চিকিৎসা বিজ্ঞান, আল কুরআনের ঔষধ বিজ্ঞান, আল-কুরআনে কম্পিউটার বিজ্ঞান,  আল-কুরআনে সংখ্যা তত্ত্ব, আল-কুরআনে সময় তত্ত্ব, আল-কুরআনে পুষ্টি বিজ্ঞান, আল-কুরআনে খাদ্য বিজ্ঞান,  আল-কুরআনে পদার্থ বিজ্ঞান, আল-কুরআনে জলযান,

আল-কুরআনে স্থলযান,আল-কুরআনে আকাশযান, আল-কুরআনে জড় বিজ্ঞান, আল-কুরআনে প্রকৌশল বিজ্ঞান, আল-কুরআনে চর্মপ্রযুক্তি,  আল-কুরআনে স্থাপত্য বিদ্যা, আল-কুরআনে খণিজ বিজ্ঞান, আল-কুরআনে কৃষি বিজ্ঞান,  আল-কুরআনে হাজবেন্ডারী,আল-কুরআনে সামুদ্রিক বিজ্ঞান, আল-কুরআনে মৎস বিজ্ঞান, আল-কুরআনে সৃষ্টিতত্ত্ব, আল-কুরআনে শরীর তত্ত্ব, আল-কুরআনে ভ্রুণ তত্ত্ব,  আল-কুরআনে মনোবিজ্ঞান, আল-কুরআনে নৃবিজ্ঞান আল-কুরআনে প্রযুক্তি বিজ্ঞান ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অনুষদগুলো চালু করা সম্ভব না হলে অনতিবিলম্বে ঢাকাতে আরেকটি পরিপূর্ণ আবাসিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে সেখানে এ অনুষদগুলো চালু করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি ।

এতে সংশ্লিষ্ট সাবজেক্টের শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলে ইসলাম এবং আল-কুরআনে বিজ্ঞান ও দর্শন সম্পর্কে সম্যক অবহিত হয়ে আল-কুরআনের আলোকে নিজেকে যেমন ঢেলে সাজাতে পারবেন তেমনি   মানের প্রত্যাশিত  কাঙ্খিত মানের সুনাগরিক তৈরি হবেন। পরিবার সমাজ রাষ্ট্রকেও সুসংহত করে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।

লেখক,

প্রফেসর ড.আ ব ম সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী

আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ

string(11) "18.97.9.171"