ব্যাংককে স্কুলবাসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ২২ শিশু মৃত্যুর শঙ্কা
সংগ্রাম অনলাইন: থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কাছেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহনকারী একটি বাস সংঘর্ষের কবলে পড়লে এতে আগুন ধরে যায়। এতে ২২ শিশুর প্রাণহানির আশংকা করা হচ্ছে। দেশটির পরিবহণমন্ত্রীর তথ্যমতে, ১৬ শিশু ও তিনজন শিক্ষক বাসটি থেকে বের হতে পেরেছে বলে জানা গেছে। তবে ২২ জন ছাত্র ও তিনজন শিক্ষক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। খবর বিবিসির।
বিবিসি থাই সার্ভিসের খবরে বলা হয়, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এ পর্যন্ত বাস থেকে ১০টি মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছেন।
ছবিতে দেখা যায়, আগুনে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তদন্তকারীরা উত্তাপের কারণে গাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
বাসটিতে করে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ উথাই থানির একটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের ফিল্ড ট্রিপ থেকে ফিরছিল। পরিবহণমন্ত্রী সুরিয়াহে জুয়াংরুংরুংকিত বলেন, ‘বাসটি সঙ্কুচিত প্রাকৃতিক গ্যাসে (সিএনজি) চলছিল। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’
পরিবহণ মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই একটি ব্যবস্থা খুঁজে বের করতে হবে উল্লেখ করে সুরিয়াহে জুয়াংরুংরুংকিত আরও বলেন, ‘যাত্রীবাহী যানবাহনের জন্য এ ধরনের জ্বালানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। কারণ এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’
এদিকে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘একজন মা হিসেবে আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার।’
স্থানীয় টেলিভিশনকে একজন উদ্ধারকর্মী বলেন, বাসটি ব্যাংককের একটি মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। একটি টায়ার ফেটে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটির সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ওভারপাসের নিচে পুরো বাসটিতে আগুন ধরে যায়। ঘন কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী আকাশের দিকে উঠছে।
বাসটিতে থাকা শিশুদের বয়স কত ছিল তা স্পষ্ট নয়, তবে স্কুলটিতে তিন থেকে ১৫ বছরের শিক্ষার্থী রয়েছে।
থাইল্যান্ডে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ সড়ক নিরাপত্তার রেকর্ড রয়েছে। সেখানে অনিরাপদ যানবাহন ও অদক্ষ চালকের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।