হাঁটু বা কোমরে ব্যথা হলেই পেইনকিলার নয়
হঠাৎ করে হাঁটুর যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। বালতি তুলতে গিয়ে কোমরে ব্যথা, বেখেয়ালে হাঁটতে গিয়ে পায়ে চোট, ঠান্ডা লেগেও দাঁতের যন্ত্রণা, পায়ের যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু একটু ব্যথা পেলেই পেইনকিলারের সাহায্য নেওয়ার দরকার নেই। ছোটখাটো ব্যথা-যন্ত্রণা তাড়াতে ওষুধ নয়, ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিন। জায়ফলের তেল: জায়ফলের মধ্যে ক্যাম্পেন, লিনালুল, ইউজেনল সহ একাধিক যৌগ পাওয়া যায়। এটি শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথা ও ফোলাভাব উপশম করতে সাহায্য করে। হলুদ: হলুদ হল প্রাকৃতিক পেইনকিলার। হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-সেপটিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্যথা ও ফোলাভাব থেকে মুক্তি দেয়। গরম দুধে হলুদ গুঁড়ো ও গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। আদা চা: আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। হজমের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি শারীরিক প্রদাহ দূর করতেও সাহায্য করে আদা। আদা পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। লবঙ্গের তেল: ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, লবঙ্গ তেলে ইউজেনল যৌগ পাওয়া যায়। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শারীরিক ব্যথা বিশেষত দাঁতের ব্যথা কমাতে সহায়ক। লবঙ্গের মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য উন্নত করে। রসুন: রসুনও হল প্রাকৃতিক পেইনকিলার। পা, কাঁধের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে রসুন। দুধের সঙ্গে রসুন ফুটিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয় পেশিগুলোকে শিথিল করে এবং শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। রসুন খেলে কোলেস্টেরলও কমে। ল্যাভেন্ডার অয়েল: অ্যারোমাথেরাপিতে ল্যাভেন্ডার অয়েল কদর অনেক বেশি। ল্যাভেন্ডার অয়েল মাথাব্যথা কমাতে, শরীরের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ কমাতে এবং শরীরে স্বস্তি এনে দিতে সাহায্য করে ল্যাভেন্ডার অয়েল। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।