মোরসালিনের গোলেই জয় পেল বাংলাদেশ
স্পোর্টস রিপোর্টার: ফিফা প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক ভুটানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন শেখ মোরসালিন। যদিও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।ফলে এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাধান্য নিয়ে খেলতে থাকা বাংলাদেশ দল ভুটানের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায়। গোলটি করেন আক্রমনভাগের ফুটবলার শেখ মোরসালিন। বৃহস্পতিবার চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার।তার বদলে ম্যাচে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। থিম্পুতে জামালের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন চোঁট কাটিয়ে ফেরা মোহাম্মদ সোহেল রানা। সোহেলের সঙ্গে চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেছেন আরেক ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিমও। এছাড়া ফিরেছেন ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষও। ৪-৪-২ ছকে খেললেও হাভিয়ের কাবরোর দলের খেলাতে নেই সেই দাপট। অনেকটা রয়ে সয়ে খেলছে। প্রতি আক্রমণ নির্ভর বললেও ভুল হবে না। বরং স্বাগতিক ভুটান আক্রমণে কিছুটা এগিয়ে ছিল। তবে তাদের যোগ্য নাম্বার নাইন না থাকায় গোলকিপার মিতুল মারমার পরীক্ষা সেভাবে নেয়া হয়নি।
শুরুতে ৫ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত থেকে রাকিব হোসেনের ক্রস গোলকিপার পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি, সামনে থাকা মোরসালিনের পায়ে লেগে আবারও গোলকিপারের শরীরে লেগে পোস্টের দিকে ছুটতে থাকে, দ্রুত ডান পায়ের টোকায় বাকিটুকু সারেন এই মোরসালিন। এক গোলে পিছিয়ে থেকে ১৯ মিনিটে ভুটান সুযোগ পায়। সতীর্থের থ্রুু থেকে অধিনায়ক নিমা ওয়াংদি বক্সের ভিতরে বল পেয়ে শট নিলেও আগুয়ান গোলকিপার মিতুল শরীর দিয়ে রুখে দেন। পরের মিনিটে কর্নার থেকে ইয়েশিয়ে গেইলশেনের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শেষ দিকে একে রাকিব হোসেন মাঠে পড়ে যান। উচ্চতা সমস্যার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল কিনা বোঝা যাচ্ছিল না। তবে পরে জানা যায়, পায়ে চোট পেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। তার পাশাপাশি স্ট্রেচার বয়ে আনা এক কর্মীও মাঠে এসে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। অ্যাম্বুলেন্সও আনা হয়। শেষ পর্যন্ত রাকিব মাঠের বাইরে চলে যান।
বাংলাদেশের একাদশ: গোলকিপার: মিতুল মারমা, ডিফেন্স: তপু বর্মণ, শাকিল হোসেন, সাদ উদ্দিন ও বিশ্বনাথ ঘোষ।
মিডফিল্ড: মোহাম্মদ হৃদয়, সোহেল রানা ও মোহাম্মদ সোহেল রানা।
ফরোয়ার্ড: ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসেন ও শেখ মোরসালিন।