শনিবার ০৯ নবেম্বর ২০২৪
Online Edition

ইয়া নবী সালাম আলাইকা ইয়া রাসূল (সা.) সালাম আলাইকা

স্টাফ রিপোর্টার: আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাস রবিউল আউয়াল। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (সা.) এ মাসেই পৃথিবীতে আগমন করেন। এ মাসের ১২ তারিখে ইহজগতের মানুষের কল্যাণে পথ প্রদর্শন করতে মহান রাব্বুল আলামিন মা আমেনার গর্ভ থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন এ মহামানবকে। পৃথিবীর মানুষ যখন নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে পশুত্বের রুপ ধারণ করে চলছিল, ঠিক সেই সময়ে একজন রাসূল হিসাবে মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়াতে আগমন করেন। 

মক্কার তৎকালীন সম্ভ্রান্ত বংশের নেতৃস্থানীয় পরিবারে আব্দুল মুত্তালিবের নাতি হিসাবে তিনি ইহজগতে আগমন করেন। গর্ভে থাকা অবস্থায় তিনি পিতা আব্দুল্লাহকে হারান এবং শিশুকালেই তিনি মাকে হারিয়ে চাচার কাছে লালিত পালিত হন। মানুষের ভালোবাসায় শিশু মুহাম্মদ (সা.) বড় হতে থাকেন। ছোট সময় থেকেই তাঁর মেধা, যোগ্যতা ও আমানতদারিতার কারণে এলাকায় তিনি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে মক্কার লোকেরা তাকে আল আমিন উপাধিতে ভূষিত করেন। সবাই তাঁর কাছে ধন সম্পদ আমানত রাখেন এবং বিভিন্ন সমস্যায় তাঁর কাছ থেকে সমাধান গ্রহণ করেন।

নবুয়্যত প্রাপ্তির পর পূর্ব থেকে চলে আসা মূর্তি পূজার বিরোধিতা করার কারণে সর্বপ্রথম তিনি প্রতিরোধের মুখে পড়েন। গোটা জিন্দেগী তিনি নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও তিনি আল্লাহর একত্ববাদ প্রচার করে যান। তাঁর জীবনে বহু ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তিনি আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। মদীনায় মদীনা সনদ প্রণয়নের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান প্রণেতা হিসাবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তার জীবনী থেকে প্রশ্রাব পায়খানাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার বিধিবিধানও শিক্ষণীয় রয়েছে। তাই এ মাসে মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী জানা সকলের প্রয়োজন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ

string(14) "44.220.255.141"