কারাবন্দীদের নিয়ে শুরুতেই সংকটে ব্রিটেনের নতুন সরকার
১০ জুলাই, রয়টার্স: কারাগার ও বন্দিদের নিয়ে শুরুতেই সংকটে পড়েছে যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার। দেশটির কারাগারগুলো কয়েদিতে পূর্ণ হয়ে গেছে। পাশাপাশি কারাগার কেন্দ্রিক ব্যয়ও বেড়েছে। এই অবস্থায় নতুন বন্দি গ্রহণের মতো অবস্থা না থাকায় কারাগারে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এতে অস্বস্তিতে কিয়ার স্টারমারের সরকার। ওয়ার্ল্ড প্রিজন ব্রিফ ডাটাবেজ অনুসারে, পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে ব্রিটেনের কারাগারে বন্দির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। নতুন কারা আইন প্রণয়নে আগের সরকারগুলো ব্যর্থ হওয়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে কারাগারে উপচে পড়ছে বন্দিরা। যুক্তরাজ্যের কারাগারে একজনের জন্য নির্মিত কক্ষে দুইজন বন্দিকে থাকতে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আগের সরকার কিছু অপরাধীকে মুক্তি দিলেও নতুন বন্দির আগমন ঠেকাতে আদালতে চলা মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব করেছে। এই কারণে বন্দির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
কারাগারের গভর্নরদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা প্রিজন গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি টম হুইটলি সতর্ক করেছেন, কারাবন্দি সমস্যার সমাধান দ্রুত পেতে হলে পুলিশের সেল থেকে বন্দিদের কারাগারে স্থানান্তর বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, কারাবন্দি সমস্যা সৃষ্টির জন্য আগের সরকারগুলো দায়ী। তারা নতুন কারাবান্দি আইন প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে তিনি মনে করেন, সংকটের সমাধান কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। তবে রাতারাতি এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। গত ৫ জুলাই পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে কারাবন্দির সংখ্যা ছিল ৮৭ হাজার ৪৫৩ জন। বর্তমানে দেশটিতে কারাগারের ধারণক্ষমতা ৮৮ হাজার ৮৬৪ জন। যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যা অনুসারে প্রতি লাখে বন্দির সংখ্যা ১৪৪ জন। এই হারের চেয়ে ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালিতে ২৫ শতাংশ কম। আর জার্মানি ও নেদারল্যান্ডে যুক্তরাজ্যের অর্ধেক কারাবন্দি রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি লাখে কারাবন্দি ৫৩১ জন। স্টারমার আগে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের প্রধান প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন কারামন্ত্রী হিসেবে জেমস টিম্পসনকে নিয়োগ দিয়েছেন। টিম্পসনের রয়েছে জুতা মেরামত ও চাবি কাটার কারখানা। যেখানকার কর্মীদের অধিকাংশই কারাফেরত। এজন্য অপরাধী ও কারাগারের ব্যাপারে টিম্পসনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।