গরমে বেড়ে যায় খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা, প্রতিকার ৪ খাবারে
সংগ্রাম অনলাইন: সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে ডিহাইড্রেশন ,হিট স্ট্রোক ,মাথা ধরা ,পেটের অসুখের পাশাপাশি যাঁরা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন এ সময়ে তাদের তেল ও চর্বিযুক্ত খাবারের তাদের বিশেষ সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ তেল-মশলাদার খাবার খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। গরমে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণেও এটি হয়ে থাকে। এ কারণেই বিশেষজ্ঞগণ বারবার পানি, খাবার স্যালাইন বলেন যাতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। পাশাপাশি তেল-চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করে গ্রীষ্মকালীন শবজি ও ফল যেমন- ঢ্যাড়শ, শশা, পটল ও তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ঢ্যাঁড়শ: কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের উপর জোর দিতে বলে চিকিৎসকেরা। এই ফাইবার উচ্চ পরিমাণে পাবেন ঢ্যাঁড়শের মধ্যে। ফাইবারের পাশাপাশি ঢ্যাঁড়শে ভিটামিন কে, সি, এ এবং ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেটের মতো পুষ্টি পাবেন। এমনকি এই সবজিতে থাকা পেকটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সবচেয়ে বেশি সক্ষম। ওজন কমানো ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও এই আনাজ উপযোগী।
শসা: এই গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হলে পাতে রাখতে হবে শসাকে। শসার মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি, যা শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এছাড়া শসার মধ্যে ফাইটোস্টেরলস নামের একটি উপাদান পাওয়া যায়, যা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা কমাতে সহায়ক। এছাড়া এই ফলের মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য উপযোগী।
তরমুজ: গরমে সুস্থ থাকতে গেলে তরমুজ খেতেই হবে। এই ফলের মধ্যেও জলের পরিমাণে বেশি। তরমুজের মধ্যে লাইকোপেন নামের যৌগ কোলেস্টেরলের মাত্রা সহায়ক। রোজ একবাটি তরমুজ বা এক গ্লাস তরমুজের শরবত খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল। পাশাপাশি শরীরও হাইড্রেটেড থাকবে।
পটল: পটলের নাম শুনলে অনেকেই নাক সিঁটায়। কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গেলে এই গরমে পটলের তৈরি পদ খেতেই হবে। ভিটামিন সি, বি এবং এ-এর মতো পুষ্টি রয়েছে এই সবজিতে। পটল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে এবং ভাল কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এমনকি পটল খেয়ে কমাতে পারেন স্ট্রোকের সম্ভাবনাও।