মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
Online Edition

কবিতা

এইসব উপলক্ষ

সাজ্জাদ বিপ্লব

 

হয়তো কিছুই না

তবু, অনেক কিছু, কতকিছু

 

কত চিন্তা, কত স্বপ্ন, কত দুঃস্বপ্ন 

কত আশা, কত আশা-ভঙ্গ, কত রঙ্গ

 

কত রঙ, কত বিবর্ণতা, বর্ণহীন, বসন্তহীন

 

এই জীবন, এই মরণ, এই বেঁচে থাকা

এইসব উপলক্ষ, এমন সব উপলব্ধি।

 

বিভ্রান্ত ছায়া

মুহাম্মদ রেজাউল করিম

 

চারপাশে বিভ্রান্তির ছায়া

তবু জ¦লে ওঠে অলৌকিক মায়া

মায়ার বাঁধন দৃঢ় হোক

উড়ে যাক বিভ্রান্তির কায়া।

 

যদি আসে প্রবল ঝড়

তবু থেমে যেয়ো না

ঝড় উপেক্ষা করে যেতে হবে সামনে

পথে পথে ঝড়

সাঁকো নড়বড়

তবু যেতে হবে নির্ভীক

বিভ্রান্তির বাঁধন ছিঁড়তে হবে

জ্বালাতে হবে প্রেমের আলো।

 

হে প্রভু!

তবে প্রেমের আলো ছড়াও

আর আমাকে মুক্তি দাও

আমি গড়বো নতুন ভুবন

যে ভুবনে সুখ আছে

যে ভুবনে শান্তি আছে॥

 

বন্য

এ কে আজাদ 

 

সভ্যতার এই অতল পথে হেঁটে যাই তুমি ও আমি,

পাশাপাশি, কাছাকাছি, 

অথচ আমরা কেউ কাউকে চিনি না,

ভালবাসার দামে আমরা কেউ কাউকে কিনি না,

মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায় এক জোড়া সাদা পায়রা,

কত সুন্দর!  কত মোহনীয়!

আমরা তাদের দিকে তাকাই না।

 

অথচ আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিমান উড়াই,

ড্রোন, কামান, রকেট লাঞ্চার কুড়াই;

মানব শিশুর রক্তে নিজের তৃষ্ণা জুড়াই।

 

এখানে আমাদের কোন আশা নেই,

ভাল ভাষা নেই, ভালবাসা নেই,

আমরা প্রত্যেকে মনের ঘরে কেবল গোখরা সাপ পুষি,

তবুও আমরা কি খুশী! 

 

এ গৃহে মানুষ মানুষের জন্য নয়,

লোভের পাপে এখানে সকলেই বন্য হয়।

 

তুমিময় জগৎ

নুশরাত রুমু 

 

প্রচ্ছন্ন কুয়াশায় এক চিলতে 

রোদের মতো ধারণ করেছি তোমায়;

উত্তুরে হাওয়ার পালে

বেঁধেছি তোমার নিঃশ্বাস।

ঝিঁ-ঝিঁ'র ডাকের মতো একটানা

জপে যাই তোমারই নাম।

 

তোমার সম্মোহে মগ্ন আমি নিশিদিন।

তুমি জাগিয়েছ গ্রীষ্মের নীল ভূমধ্যসাগরকে,

তাজমহলের শ্বেতপাথরে নয়

তোমার চুলের ভাঁজেই খুঁজেছি ভালোবাসা।

কামিনীর সুগন্ধি নেচে বেড়ায় 

তোমার ঐ ক্লিন্ন রুমালে।

 

মোহাবিষ্ট হই তোমার প্রতিটি বাক্যবাণে,

যদিও সে বাক্য আমার স্তুতিহীন !

তবু তুমিময় হয়ে আছে 

আমার সমস্ত জগৎ।

 

ঘুণপোকা 

রেজা কারিম 

 

ফর্সা চেহারা লোকটার

একনজরে খুবসুরত মানুষ মনে হয়

এককথায় যাকে বলা হয় 'উপরে ফিটফাট '

শিক্ষিত, ভালো চাকরিও করেন

বেতনটাও মোটা অংকের 

ক্ষমতাও তার কম নয়

ফর্মালিটির চাদরে মোড়ানো তার সর্বাঙ্গ। 

 

তবে আসল কথা হলো 

একটা ঘুণপোকা প্রতিনিয়ত তার ভেতরটা কাটছে

সে বুঝতে পারে

চোখ বন্ধ করলে শব্দও শুনতে পারে

কিন্তু তার যে কিছুই করার নেই 

কারণ ঘুণধরা কাঠ আর ঘুণধরা মানুষের মাঝে কোন তফাৎ নেই। 

 

এমন মানুষের সংখ্যা দিন দিন হু হু করে বাড়ছে।

 

ফানুস 

কানিজ ফাতেমা মিলি

 

কেন হতাশায় ডুবছো?

বোকা মানুষ 

সন্ধ্যার আকাশে দাও উড়িয়ে 

রঙিন ফানুস।

 

উড়িয়ে দাও যত দুঃখ

হবেই জয়।

অনন্ত আকাশে যাক হারিয়ে

শত ক্লান্তি ভয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ