ঢাকা, রোববার 8 September 2024, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী
Online Edition

জামায়াতকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে: খায়রুল হাসান

গাযী খলিলুর রহমান, গাজীপুর মহানগর সংবাদদাতাঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো: খায়রুল হাসান বলেছেন, সরকার জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের বাইরে রাখতে  নিবন্ধন বাতিল করেছে। সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় আদালত  জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন মামলাটির কোন শুনানি ছাড়াই নিবন্ধন বাতিলের একতরফা রায় দিয়েছে। এ রায়ে মূলতঃ আদালত সরকারের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করেছে। ন্যায়ভ্রষ্ট এই রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি নেতা কর্মী সহযোগী ও সমর্থক সংক্ষুব্ধ। এ রায়ে গণতন্ত্রকামী এবং শান্তিকামী জনগণ বিস্মিত এবং হতবাক। জামায়াতের মতো মানবতাবাদী এবং গণতন্ত্রকামী দলের নিবন্ধন বাতিল করে সরকার নিজেদের দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছে। জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে জামায়াতকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার সরকারি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিবন্ধন বাতিল করা 

হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, নিবন্ধন বাতিলে আমরা মোটেই বিচলিত এবং চিন্তিত নই বরং আল্লাহর সাহায্য এবং জনগণের ভালবাসা নিয়ে জামায়াত সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রতিবাদে  কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুর মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভূষির মিলে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলটি নগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো: খায়রুল হাসানের নেতৃত্বে শুরু হয়।  বিক্ষোভ মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিন করে হাজীরপুকুরে গিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি

মো: হোসেন আলীর সঞ্চালনায় মো: খায়রুল হাসানের  সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ ও বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: সালাহউদ্দিন আইয়ুবী, মহানগর কর্ম পরিষদ সদস্য মো: নজরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মো: মহিউদ্দিন, মো: আবু তাকি, মো: আশরাফ আলী কাজল, ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান সহ বিপুলসংখ্যক জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মী এবং শান্তিকামী জনগণ। 

তিনি আরো বলেন, সীমাহীন জুলুম নির্যাতন দুর্ণীতি দু:শাসন এবং লুটপাটের  কারণে সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। আতংকিত সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে গণদাবী উপেক্ষা করে আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করার জন্য আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে এই তফসিল ঘোষণা করে। ক্ষুব্ধ জনতা একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছে। তিনি অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমান সহ  নেতৃবৃন্দের মুক্তি,হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ তফসিল বাতিল এবং কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ