মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভুগছেন? কী করবেন?
এখন অনেকটা সময় বসে কাটাতে হয় কম্পিউটারের সামনে। বসা থেকে উঠতে গেলে বা শোয়া থেকে বসতে গেলে অনেকেই প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন কোমরে ও হাঁটুতে। এটি কি সাধারণ ব্যথা নাকি অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস? এই রোগে আক্রান্ত হলে কী কী লক্ষণ দেখা দেয় তা জানা জরুরী। অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস কী? এটা হলো একধরনের আর্থ্রাইটিস যা পিঠের অংশকে বাঁকা করে দেয়, মেরুদ-ে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির পিঠ, পাঁজর, ঘাড় শক্ত ও ব্যথাক্রান্ত হয়ে থাকে। কী কী কারণে অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস হয়ে থাকে তা গবেষকদের অজানা। তারা ধারণা করেন কিছু ক্ষেত্রে এটি জিনগত, তবে পিতামাতার কাছ থেকে সন্তানদের মধ্যে সরাসরি যায় না। লক্ষণ কী কী? ১) ভোরবেলা পিঠের নীচের অংশ আড়ষ্ট হয়ে থাকে এবং ব্যথা হতে থাকে যা কমপক্ষে ৩০ মিনিট স্থায়ী হয় এবং পরবর্তীতে ব্যথা কমে যায়। ২) অসহনীয় ব্যথায় রোগীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ৩) কোমড়ের নিচের অংশে এবং কখনও কখনও উরুর পিছনে ব্যথা হতে পারে। যাদের দীর্ঘদিন ধরে অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস থাকে, তাদের সামান্য আঘাতে পিঠের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ব্যথানাশক, যেমন প্যারাসিটামল এবং নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস সাধারণত অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিসের ট্রিটমেন্টে দেওয়া হয়। অ্যান্টি-রিউম্যাটিক ড্রাগস নামে পরিচিত ওষুধগুলো শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। মেডিসিন কখনও কখনও কার্যকর হতে কয়েক সপ্তাহ বা মাস সময় নিতে পারে। ফিজিওথেরাপি অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস ট্রিটমেন্টের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফিজিওথেরাপিস্ট বিভিন্ন ব্যায়াম রোগীকে শেখাবেন যা সে ঘরে বসেই করতে পারে। বেশিরভাগ রোগীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না।
জয়েন্টগুলোর অবস্থা বেশ খারাপ হলে জীবনযাত্রায় সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসক হাঁটু প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এতে রোগী ব্যথা থেকে মুক্তি এবং চলাফেরা করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। নিয়মিত শারীরচর্চা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে সাধারণ জীবনযাপনে ফিরে আসা সম্ভব। তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।