গোবিন্দগঞ্জে আগাম আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু
গাইবান্ধা সংবাদদাতা : অনাবৃষ্টি আর নানা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে গাইবান্ধার কৃষকরা এ বছর রোপা আমন ধানের চাষ করে ভাল ফলনে খুশি কৃষকরা। আগাম উৎপাদনের কারণে ধান ও খড়ের বাজারদর বেশ ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে, মৌসুমের শুরুতেই অল্প মেয়াদি আগাম জাতের ধান কাটতে পারায় খুশি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি ও কৃষি শ্রমিকরা। সেই সাথে ধান কাটার পর পরই একই জমিতে রবি ফসল আবাদের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন কৃষকরা।
অনাবৃষ্টি, সার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জের কৃষকরা এ বছর রোপা আমন ধানের চাষ করেন। এখন আগাম জাতের বিনা-৭, ব্রি ধান-৩৩, ৫৬, ৭১, ৭৫, ৮৯ এর মত স্বল্পমেয়াদী আমন ধান পাকায় তা কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
আগাম জাতের ধান কাটতে পারায় খুশি কৃষকরা। কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তি নতুন কাজের সংস্থানে কৃষি শ্রমিকরাও। এ বছর জেলার সাতটি উপজেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ৬শ’ ৯৯ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। যে ধান থেকে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৫ মেট্রিক টন।
এরমধ্যে ৭ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে স্বল্পমেয়াদী আগাম জাতের ধান করা চাষ হয়। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় আগাম জাতের ১২শ’ ৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। উপজেলায় গত বছর এই ধান চাষ হয়েছিল ৯৮৮ হেক্টর জমিতে। সে তুলনায় ক্রমেই আগাম ধান চাষে আগ্রহ বাড়েছে কৃষকদের।
এই বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিলাস কুমার ভট্টাচার্য বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী করতে কৃষি বিভাগের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ এতে নিজের এবং প্রতিবেশীর চাহিদা মিটিয়েও বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। সংকট মুহূর্তে রয়েছে গো-খাদ্যের চাহিদা পূরণের সুযোগ। পাশাপাশি কৃষক ধান কাটার পর এই জমিতে অন্য ফসল চাষের সময় পায় যথেষ্ট।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজা-ই-মাহমুদ, আগাম জাতের ধানসহ অন্যান্য ফসল সম্প্রসারণে কাজ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। আগাম ও স্বল্প মেয়াদী ধান কাটার পর এসব জমিতে সরিষা, মুগ ডাল, আলু ও গম চাষ করতে পারেন। সেজন্য কৃষি বিভাগ আগাম ধান চাষে সব ধরনের পরামর্শ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।