ভিসানীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই ---------------ওবায়দুল কাদের
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের ভিসানীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়েও লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন, ভয় দেখান মির্জা ফখরুল। বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের কী হলো? ফলাফল কী?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল প্রমুখ।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞাকে ভয় করলে বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করতে পারতেন না। নিষেধাজ্ঞাকে কেউ ভয় করলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, বাংলাদেশের সোনালী অর্জন সেগুলো হতো না। আমাদের নির্বাচন সংবিধান নির্ধারণ করবে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক মানি না। তত্ত্বাবধায়ক এখন মরা লাশ, ওই লাশ এখন আমাদের দিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশে ওই তত্ত্বাবধায়কের ইতিহাস জানা আছে।
তিনি বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ, ১৫ বছর পরে বাংলাদেশ, ১৫ বছর আগের এই ঢাকা শহর, ১৫ বছর পরের এই ঢাকা শহর, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আলোতে ঝলমল। কী পরিবর্তন তাকিয়ে দেখুন। আগামী মাসে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেল চলবে। কী অপূর্ব সুন্দর ঢাকা শহর। এই রূপান্তরের রূপান্তর কে? সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিয়েছে কে? আমাদের সাহস, আমাদের স্বপ্নের বর্ণিল ঠিকানা, কে তিনি? শেখ হাসিনা।
হানিফ বলেন, ৭৫ এর হত্যাকা-ের মাধ্যমে তারা মনে করেছিল স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষার লড়াই শুরু করেন। সেজন্য বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।
মার্কিন ভিসা নীতি সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের কড়া জবাব দেন তিনি। বলেন, ফখরুল সাহেব বললেন ভিসা নীতির কারণে বাংলাদেশের সম্মান ক্ষুণœ হয়েছে। আমরাও সেটি বলেছি। একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জন্য ভিসা নীতি অসম্মানজনক।
তিনি কি ভুলে গেছেন তাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়া ২০১২ সালে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। লবিস্ট নিয়োগ করে বিএনপি র্যাবের ওপর স্যাংশন দেওয়ার জন্য কাজ করেছিল। ভিসা নীতিসহ বাংলাদেশের সব অসম্মানের জন্য বিএনপি দায়ী। এমনকি বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় মন্তব্য করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমরা লড়াই-সংগ্রাম করে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো পরোয়া করে না। আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচন যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করতে আসে, তাহলে তাদের রাজপথে প্রতিহত করব। আমরা শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আপোসহীন।