নীলাকাশে কে ভাসালো সাদা মেঘের ভেলা

আসাদুজ্জামান আসাদ
শরৎকাল। আঁকাবাঁকা মেঠোপথ। নীলাকাশে ভাসে সাদা মেঘের ভেলা। দোলে কাশফুল। সাদা কাশের মেলা। খালে বিলে থই থই পানি, ভাসে লাল সাদা শাপলা ফুল। সূর্যাস্তের রক্তিম আভা। পৃথিবী ও প্রকৃতি মহা ব্যস্ত। প্রচন্ড ব্যস্ততায় মিশেছে শরৎ। নিজের অজান্তে প্রকৃতির মাঝে হাজির শরৎ। বাহ! কি মনোরম, মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপট। শরৎ মানে সজীবতা। সজীবতা মানে ফুলের সৌরভ। শুভ্র সাদা কাশ আর শিউলি ফুল। তাছাড়া চারিদিকে সুবাসিত সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে শিউলি ফুল। শিউলি তলা ভরে ওঠে ফুলে ফুলে। ইচ্ছে করে গলায় শিউলি ফুলের মালা পরতে। আরো ফোটে বকুল, জুঁই, কেয়া, মল্লিকা, শাপলা, শালুকসহ কত জানা, অজানা ফুল। ফুলের পাশাপাশি পাওয়া যায় সুসাধু মিষ্টি জাতীয় নানারকম রসালো ফল। যেমনÑআমলকি, জলপাই, জগডুমুর, তাল, আরবরই, করমচা, চালতা, ডেউয়া ইত্যাদি।
শরৎ মানে স্নিগ্ধতা। অপরুপ সৌন্দর্যের মাঝে প্রজাপতির মেলা। মাথার উপর নীলাকাশ, উড়ছে সাদা মেঘের ভেলা। সবুজ মাঠে শিশির ভেজা দুর্বাঘাস। নদীর ধারে কাশের ফুল। সাদা কাশফুলে মোহনীয় দৃশ্য। ইচ্ছে করে কাশের বনে হারিয়ে যেতে। দৃশ্যপট হয়ে ওঠে অপরূপ সৌন্দর্যের নীলাভূমি। কাগজ-কলমে ফুটে ওঠে স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি। শরৎ মানে নীল আকাশ। মেঘ-রোদের লুকোচুরি খেলা। শরৎ পরিবর্তনের প্রতীক, স্বাচ্ছন্দের অনুভূতি। শুভ্র সাদা কাশফুলে গড়ে ওঠে মেঘের মিতালি। ভেসে ওঠে শরতের সিস্নগ্ধতা, উদারতা। তাই তো শরৎকে বলা হয় স্নিগ্ধতার প্রতীক। শরৎ ভাবনায় কেটে যায় অনেক বেলা। বাংলা সাহিত্যে শরৎকে নিয়ে গল্প, প্রবন্ধ, উপনাস, ছড়া কবিতায় রয়েছে দারুণ সব বর্ণনা। তোমরা পড়ে জানতে পারো সে সব।