মুখের ঘা সারাবেন কিভাবে? কি খাবেন?
মুখের ঘায়ের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। মুখের ভিতরের ত্বকে ছোট অগভীর সাদা অংশকে কেন্দ্র করে দানাদার স্তর তৈরি হয়। ঘা আকারে ছোট হলেও ভয়ঙ্কর অস্বস্তিতে ভোগেন রোগী। মাউথ আলসার বেশ গুরুতর সমস্যা তৈরি করে। মাউথ আলসার হওয়ার সাধারণ কারণ হল গালে বা জিভে কামড় লাগা। ভাঙা দাঁত, টুথব্রাশের ঘর্ষণের কারণেও মাড়িতে বা মুখগহ্বরের তালুতে তৈরি হতে পারে আলসার। এছাড়া ভিটামিনের ঘাটতি, ঘুমের অভাব, ডিহাইড্রেশন এবং মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণেও মুখে আলসার হতে পারে। কি কি করলে উপকার পাবেন? লবণ পানি : মুখে একটু জ্বালা জ্বালা ভাব দেখা দিলে লবণ পানির মিশ্রণ ব্যবহৃত হয়। ঈষদুষ্ণ পানিতে লবণ ফেলে গার্গেল করলে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে যেমন মুক্ত থাকা যায় তেমনই আলসারের সমস্যাও দূর হয়। মধু: মুখের ঘা সারাতে চাইলে অবশ্যই মধু ব্যবহার করুন। মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি মুখগহ্বরে আর্দ্রতা প্রদান করে ও ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমাতে সাহায্য করে। নারিকেল তেল: অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে নারকেল তেলের। পাশাপাশি অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যেও ভরপুর। আক্রান্ত স্থানে আধা চা চামচ নারকেল তেল লাগালে ব্যথা থেকেও তাৎক্ষণিক উপশম মেলে। তুলসী পাতা : তুলসী মুখের ঘা সারাতে কার্যকরীভাবে কাজ করে। মুখের ঘায়ে তুলসীর রস লাগালে তা আলসারকে জীবাণুমুক্ত করতে পারে। লবঙ্গ তেল : লবঙ্গে রয়েছে ইউজেনল নামে অত্যন্ত উপকারী উপাদান যা বিভিন্ন প্রকার সংক্রমণ এবং প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া লবঙ্গের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলীর কারণে লবঙ্গ বিভিন্ন প্রকার মুখগহ্বর সংক্রান্ত অসুখ সারাতে ও মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ওষুধ: একটা অল্পদামী ওষুধ রিবোফ্লাভিন ঘা সারায় কার্যকরী। সেটা খেতে পারেন। গিলে নয়, চুষে খেতে হবে। এন্টি ফাংগাল ক্রিমও লাগাতে পারেন আক্রান্ত স্থানে। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।