বৃহস্পতিবার ৩০ নবেম্বর ২০২৩
Online Edition

কিন্ডারগার্টেন নামেই নিবন্ধন চান মালিকরা

স্টাফ রিপোর্টার : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের প্রণীত ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিধিমালা ২০২৩’ সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এসোসিয়েশন। এ সময় তারা জানান, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, কিন্ডারগার্টেন নামেই নিবন্ধন চান তারা। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৫৩ হাজারের বেশি ব্যক্তি মালিকানাধীন কিন্ডারগার্টেন ও একই ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান শুধু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সামান্য বেতন নিয়ে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রণীত ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিধিমালা ২০২৩’ এর নতুন সংশোধনীর কথা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এর মধ্যে প্রায় আড়াই কোটি শিক্ষার্থী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত। বিশেষ করে ৫৩ হাজার কিন্ডারগার্টেনে প্রায় ৮ লাখ শিক্ষক এবং প্রায় ৪০ লাখ পরিবার এ সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল। এই সেক্টরের পড়াশোনার মান যেমন ঈর্ষণীয় তেমনই উদ্যোক্তারা বেকারত্ব নিরসনেও  কাজ করছে। তাই আমরা ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিধিমালা ২০২৩’ সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি।

এসোসিয়েশনের দাবির মধ্যে রয়েছে, কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্ডারগার্টেন স্কুল নামে নিবন্ধন করা, শিক্ষক নিয়োগবিধি শিথিল করা অথবা শিক্ষকদের বেতন সরকারি তহবিল থেকে প্রদান করা, কিন্ডারগার্টেন স্কুল নীতিমালা প্রণয়নে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রতিনিধি রাখা। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খন্দকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন,  কিন্ডারগার্টেন ও সমমনা স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আব্দুল অদুদ, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এসোসিয়েশনের মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির রানা প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ