শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
Online Edition

কেউ কথা রাখেনি॥ অভিযোগ মেয়র তাপসের

স্টাফ রিপোর্টার: বর্ষা মৌসুম অর্থাৎ ডেঙ্গু বিস্তারের পিক টাইম শুরুর আগে রেলওয়ে, গণপূর্ত, পুলিশসহ ঢাকা শহরে বৃহত্তর স্থাপনা রয়েছে এমন সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করে ব্যবস্থা নিতে বলার পরেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল শনিবার সকালে রেড জোন ঘোষিত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিগাতলা এলাকায় ডেঙ্গু বিস্তাররোধে মশক নিধনে জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ পরবর্তী গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘মৌসুম শুরু হওয়ার অনেক আগেই আমরা মন্ত্রী পর্যায়ে এবং সিটি করপোরেশনেও আলাদাভাবে রেলওয়ে, গণপূর্ত, পুলিশসহ ঢাকা শহরে যাদের বৃহত্তর স্থাপনা রয়েছে, এ রকম বিভিন্ন সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করেছি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করি যে, যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তারপরও আমরা তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে রেলওয়ে কলোনি, থানাগুলো, হাসপাতাল এলাকা, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিষ্কার করেছি। আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব। তবে আমরা আশা করব, তারা আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।’

এ সময় মেয়র গত একমাস ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৫০ হতে ৫৪ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। উৎস নিধনের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজন্মস্থল ধ্বংস করার কার্যক্রম গতিশীল রাখায় এটি সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হলেও এটি যেন কোনোভাবেই আর না বাড়ে তাই মশক নিধন কার্যক্রম চালিয়ে যাবে সিটি করপোরেশন। সবার সচেতনতায় রোগীর সংখ্যা আরও কমে আসবে আশাবাদ তার।

এদিকে গত সপ্তাহের হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪ ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড দুটিতে ১০ জনের বেশি রোগী সনাক্ত হওয়ায় ওয়ার্ডদুটোকে লাল চিহ্নিত এলাকা (রেড জোন) ঘোষণা করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে এই দুটো এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা, চিরুনি অভিযান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা চলছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। এতে এলাকাবাসী, সামাজিক সংগঠন, রেড ক্রিসেন্ট, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যুক্ত করা হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রতি কোথাও পানি না জমতে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। পরে ডিএসসিসি মেয়র ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কামরাঙ্গীরচরের কয়েকটি এলাকায় বেশ কয়টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশ নেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইলিয়াছুর রহমান, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন, সংরক্ষিত আসনের শিরিন গাফফার ও শেফালী আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ