শিক্ষক সংকটে ভুগছে কাপ্তাই পলিটেকনিক কলেজ

নুরুল আবছার চৌধুরী, কাপ্তাই, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম): কাপ্তাই উপজেলায় ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্টিত হয় বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাংলার তৃণমূলে এই শিক্ষালয়ের বেশ সুনাম থাকাতে বিভিন্ন জেলা উপজেলা হতে শিক্ষার্থীরা এ প্রতিষ্ঠানে পড়তে ছুটে আসছেন। বর্তমানে কলেজটিতে ৬টি বিভাগে দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়ায় চলমান রয়েছে । তবে এসব ছাত্র - ছাত্রীদের জন্য রাজস্ব খাতে অধ্যক্ষসহ মোট ১১৯ জন শিক্ষক - শিক্ষিকার পদ বরাদ্দ আছে। কিন্তু বর্তমানে রাজস্ব স্থায়ী ১৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে, এ ছাড়া স্টেপ প্রজেক্টের জন্য ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা চলমান আছে। এরা আবার ৩৮ মাস যাবত বেতন ভাতা পাচ্ছে না এবং খন্ডকালীন মিলিয়ে মাত্র ৫০ জন শিক্ষক দিয়ে কোনরকমে জোড়াতালি মাধ্যমে অব্যাহত আছেন ইনস্টিটিউট এর পাঠদান কার্যক্রম। স্বপ্লজন শিক্ষক মাত্র ৫০ জনের মাধ্যমে সকাল বিকাল ধরে ক্লাস করানো হচ্ছে। শিক্ষক সংকট থাকায় এ প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ছয়টি মধ্যে প্রতিটি বিভাগে শিক্ষক সংকটে নিয়মিত ক্লাস এর ব্যাঘাত ঘটছে। ওইসব পরিস্থিতিতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা চরম হতাশায় ভুগছে। সেইসব দাবি দ্রুত সময়ে ভিতরে শিক্ষক সংকট কাটিয়ে সুষ্টু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আবেদন জানান শিক্ষার্থীরা। উক্ত শিক্ষালয়ে জন্য প্রথমদিকে চারটি বিভাগে ১০০ জন শিক্ষার্থী জন্য পাঠ দানের জন্য ছাত্রাবাস নির্মাণ হয়। সুইডেন রয়েল পরিবার থেকে অবকাঠামোর উপর দুই হাজারে অধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছে। এসব শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫০ জনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র তিনটি হোস্টেল। আর অন্যসব শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ম্যাচে থেকে লেখা পড়া চালাতে হচ্ছে। জানা যায়, ২০২৩ সালের বাংলাদেশ সরকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর উপর জরিপ করা হলে ৪৯ টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মধ্যে ২য় স্থানে রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। প্রথম ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। কাপ্তাই সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, শিক্ষক সংকটের বিষয়ে কথা হয় উপস্থিতি একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে। ৩য় বর্ষের ছাত্র রিসাদ জানান, মেট্রিকে জিপিএ-৫ পেয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে এসে দেখতে পাই বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে কাহিল অবস্থা। বেশ চিন্তিত হয়ে পড়তে হয়েছে। কেননা শিক্ষক সংকট থাকায় নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। এতে সঠিক সময়ে পাঠদান না থাকায় শিক্ষার্থীরা মেধাশূন্য হয়ে পড়েছেন। ৩য় বর্ষের ছাত্র মো: মজিদ জানান, শিক্ষক সংকট আমাদের জন্য বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে কিছু খন্ডকালীন শিক্ষকদের মাধ্যমে ক্লাস চলমান রাখা হয়। শরিফ নামের আরেকজন ছাত্র বলেন, যে সমস্ত গুনগতমানের শিক্ষার দরকার তা পাচ্ছি না। হাতে কলমে যেইসব শিক্ষা প্রয়োজন তার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। সবকিছু কারণ হচ্ছে শিক্ষক সংকটের কারনে। ওই সবের কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা মেধাহীনতায় ভুগছে। শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত সময়ে মধ্যে শিক্ষক সংকট সমস্যাটা কাটিয়ে উঠবে। কাপ্তাই সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি সত্য।
শিক্ষক না থাকলে শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে একশত ১৯ জন শিক্ষকের স্থলে স্থায়ী শিক্ষক আছে মাত্র ১৯ জন। আর স্টেপ এবং খন্ডকালীন শিক্ষক মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে শিক্ষক সংকটের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কাজটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। চেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংকটের নিরাসন হয়।