চলে গেলেন কাজী পেয়ারার উদ্ভাবক
কাজী পেয়ারা খেয়েছেন নিশ্চয়ই? এ সুস্বাদু ও দারুণ উপকারী ফলটি সবাই খান। ভবিষ্যতেও খাবেন। এটি আকারে বড়সড়। টসটসে। কিন্তু কখনও জানার আগ্রহ জন্মেছে এ কাজী পেয়ারার উদ্ভাবক কে বা পেয়ারার নাম কাজীই বা হলো কী করে?
অনেকেই জানেন না এমন প্রচারবিমুখ মহৎ মানুষটি সম্পর্কে। কৃষিতে এত বড় যার অবদান এ রকম একজন মানুষের তিরোধানে নেই কোনও মিডিয়ায় আলোচনা। তাঁর তিরোধানের খবরটিও ছাপেনি পত্র-পত্রিকাগুলো।
গাইবান্ধা জেলার এ কৃতী সন্তান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষি সংগঠক, ন্যাশনাল ইমেরিটাস সায়েন্সটিস্ট ডক্টর কাজী এম বদরুদ্দোজা। পেয়ারার একটি জাত উদ্ভাবন করেন, যা তাঁর নামানুসারে কাজী পেয়ারা নামকরণ করা হয়।
কৃষিক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে পরিচিত স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয় তাঁকে।
উল্লেখ্য, ধানের বাইরে বাংলাদেশের প্রধান দুটি দানাদার ফসল চাষ শুরুর ক্ষেত্রেও কাজী বদরুদ্দোজা সাহেব নেতৃত্ব দেন। দেশে আধুনিক জাতের গম উদ্ভাবন ও চাষ শুরু করা আর ভুট্টার বাণিজ্যিক আবাদ তাঁর হাত দিয়ে শুরু। ভুট্টা থেকে তেল উদ্ভাবন এবং তা পোলট্রিশিল্পের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার শুরুর ধারণাটিও তাঁর কাছ থেকে আসা। ছত্রাকের “গণকাজিবোলেটাস” এর নামকরণও করা তাঁর নাম থেকেই।
হ্যাঁ, এ গুণী মানুষটি বার্ধক্যজনিত কারণে গত ৩০ আগস্ট, ২০২৩ বিকেল সাড়ে ৪ টায় ইন্তিকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আসলে আমরা গুণীর গুণের কদর করতে জানি না। এর পরিণাম কিন্তু খুব বেশি ভালো নয়।