রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
Online Edition

আখ চাষে ঝুঁকছেন রায়পুরের কৃষকরা

 

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা : উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলা আখ চাষের জন্য উপযুক্ত হলেও বর্তমানে নারকেল, সুপারি ও সোয়াবিনের উপজেলা হিসেবে পরিচিত রায়পুর  উপজেলায়ও উৎপাদন বেড়েছে।

স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্য মতে, গত বছর ৪৩ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৯০৪ টন আখের চাষ করা হয়। এ বছর তা বেড়ে ৬০ হেক্টর জমিতে ২ হাজার ৬৪০ টন আখের চাষ করা হয়েছে।

কৃষি অফিস থেকে আরো জানা গেছে, এ বছর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কম-বেশি আখের চাষ করা হয়েছে। তবে উপজেলার ১, ২, ৮ ও ৯নং ইউনিয়নে অন্য ইউনিয়নের তুলনায় আখ চাষ বেশি হয়েছে। এ উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আখ চাষ হলেও ঈশ্বরদী ৩৯ ও ৪০, বি এস আর আই ৪১ ও ৪৩, চাঁদপুর গেন্ডারি জাতের আখ বেশি চাষ হচ্ছে। দিন দিন আখ চাষে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে যে আগ্রহ লক্ষ্য করা হচ্ছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়বে।

সরজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আখের মান ভালো হলে পাইকাররা জমি থেকেই ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিছ দরে আখ কিনে নিয়ে যায়। একবার আখ চাষ করলে ২-৩ বছর ফলন পাওয়া যায়। গোঁড়া থেকে আখ কেটে নিলে অবশিষ্ট অংশ থেকে আবার নতুন আখ জন্মায়। এছাড়া বিক্রির সময় কেটে রাখা গাছের আগা থেকেও চারা উৎপাদন করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে বছরে লাখ টাকার ওপরে লাভ পাওয়া যায়।

৯নং চর আবাবিল ইউনিয়নের আখ চাষি সাবেদ আলী বলেন, ‘৪০ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করেছি।  ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আশা করি ভালো লাভ করতে পারব। গত বছরের তুলনায় এ বছর আখের ফলন ভালো হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার তহমিনা খাতুন বলেন, ‘উপজেলায় অন্যান্য ফল ও ফসলের পাশাপাশি দিনে দিনে আখের চাষ বাড়ছে। লাভজনক ফসল হওয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেকেই আখ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ বছর উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হচ্ছে। তবে সরকার থেকে এই উপজেলায় কোন প্রণোদনা না থাকায় তাদেরকে কোনো সহযোগিতা করা যাচ্ছে না।  তবে কৃষক হিসেবে তাদেরকে মৌখিকভাবে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আখ লাগানো থেকে শুরু করে উঠানো পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ধাপে সার প্রয়োগ ও রোগ বালাই নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ