বৃহস্পতিবার ৩০ নবেম্বর ২০২৩
Online Edition

শেখ হাসিনার বিদায় আসন্ন 

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপির কোর্টে যাওয়ার দিন শেষ। সামনে শেখ হাসিনার কোর্টে যাওয়ার পালা আসছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জানেন, তার বিদায় আসন্ন। কিন্তু তা প্রকাশ করেন না যে, যদি অবস্থাটা তার বাবার মতো হয়। আমরা তার শান্তিপূর্ণ পদত্যাগ চাই। শেখ হাসিনার পতন ছাড়া গয়েশ্বর মরবে না তার মৃতদেহ চিতায় উঠবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মহানগর নাট্য মঞ্চে দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড মঈন খান। 

গয়েশ্বর বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে কেউ আমাদের হাতপা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিলে আমরাও আর বসে থাকবো না। তার পাল্টা জবাব দিতে হবে। বেচে থাকার অধিকার আমাদেরও আছে।

গয়েশ্বর আরও বলেন, শেখ হাসিনার বিএনপির প্রতি বড় মায়া যে বিএনপিতে কে প্রধানমন্ত্রী হবে। আরে বাবা আগে সুষ্ঠু নির্বাচনটা হউক। তারপর দেখা যাবে কে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে আর কে প্রেসিডেন্ট হচ্ছে। বিদায়ী প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, চেয়ারে থাকতে ঠিকই সরকারের দালালি করেছেন। ক্ষমতা যাওয়ার পর বলছেন অন্য কথা। খালেদা জিয়াকে কোন আইনে সাজা দিয়েছেন ?  

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বলে গেছেন বিচার বিভাগ রাজনীতির উর্ধ্বে না ওঠলে দেশের অবস্থা হবে ভয়াবহ। এটা একটা বার্তা। বিচার বিভাগ দেশের জনগণ এবং বিশ্ববাসীর জন্য এটা একটা বার্তা। এথেকে কি বোঝা যায়? 

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে আমির খসরু বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ব্রীকসে আবেদন করেছেন। আবার শেখ হাসিনা বলেন আবেদনই করেননি। বিশ্বের কোথাও জায়াগা হবে না আপনার। ইতিমধ্যেই পরাজিত হয়ে গেছেন। সুতরাং বিদায় হউন। লক্ষ জনতা রাস্তায় নেমেছে। তারা আপনার বিদায় ছাড়া তারা ঘরে ফিরবে না। 

সভাপতির বক্তব্যে ড. মঈন খান বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯ দফা দিয়েছেন। তিনি উদার নীতির রাজনীতি শিক্ষা দিয়েছেন। অর্থনীতিকে উন্মুক্ত করেছেন। তিনিই বলেছেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। দলের চেয়ে দেশ বড়। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।

আগামি এক মাসের মধ্যে সরকারের পতন হবে স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের পতন ঘনিয়ে আসছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে শহীদদের রক্তের বদলা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের রক্তের বদলা নেওয়ার শপথ নিয়ে সরকারকের বিদায় দিতে হবে। 

ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান উমর (বীর উত্তম) বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছে ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোডে। ক্যান্টনমেন্টে জন্ম হয়নি। জিয়াউর রহমান গায়ের জোরে প্রেসিডেন্ট হননি। তিনি জনগণের রায়ে হয়েছিলেন। 

ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, জাতীর ঐতিহাসিক প্রয়োজনে রাজনীতিতে জিয়াউর রহমানের আগমন। আর আওয়ামী লীগ তার দল বাকশালে বিলীন করে দেন। আজকের আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের অনুকম্পার ফল। শেখ হাসিনা আপনি বাঘের শোয়ার হয়েছেন। খালেদা জিয়ার পায়ে ধরে মাফ চাওয়া ছাড়া আপনার মুক্তি নেই। ডেঙ্গুর প্রভাবে আড়াই বছরের শিশু মারা গেছে। সভ্য দেশ হলে এরজন্যই মন্ত্রী পদত্যাগ করতেন।  ২০২৩ সালের মধ্যেই শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন বলেও ভবিষৎত বানী করেন বুলু।   

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, সরকার যদি তাকে মুক্তি না দেয় তাহলে আমরাই তাকে মুক্ত করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস হলো পালিয়ে যাওয়া। সুযোগ পেলেই মানুষের অধিকার হরণ করা। গুম খুন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে জ্বালাতন করা, নির্যাতন করা। আওয়ামী লীগকে টেনে ক্ষমতা থেকে নামানোর আহ্বান জানান তিনি। 

ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মানুষ তার অধিকার ফেরত চায় মালিকানা ফেরত চায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি থামাতে চায়। আজ শপথ নেওয়ার দিন। কোন অবস্থাতেই পেছানোর জায়গা নেই। আমরা যদি পিছনে যাই বাংলাদেশ হেরে যাবে। আমরা এগুলে আমরা জিতে যাবো।  স্বৈরচার বিদায় আমাদের-ই করতে হবে। 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুদু বলেন, দেশের জন্য জিয়াউর রহমানের অবদান বেশি বেশি আলোচনা করতে হবে। মানুষকে জানাতে হবে। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ