ইমরান খানের সাজা স্থগিত

সংগ্রাম ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা দুর্নীতি মামলার রায় স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার আদালত সংক্ষিপ্ত রায়ে ঘোষণা করেছে যে, রায়টি একদিন আগে থেকেই সংরক্ষিত ছিল। যেখানে কর্তৃপক্ষকে পিটিআই প্রধানকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ডন।
সাজা স্থগিতের রায় নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আগেই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ইমরান খান ও তার দল পিটিআই। ইসলামাবাদের রায়কে তার আইনি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি তারিক মাহমুদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাদ-ের বিরুদ্ধে আপিলের বিষয়ে বহুল প্রত্যাশিত আদেশ ঘোষণা করেন।
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় গত (৫ আগস্ট) শনিবার ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের কারাদ- প্রদান করেন ইসলামাবাদের বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়। আদালতের নির্দেশে লাহারের জামান পার্কের বাসভবন থেকে তাৎক্ষণিক আটক করা হয় ইমরানকে। তার দল পিটিআইয়ের অভিযোগ, রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ আগে থেকেই রায়ের ফলাফল জানতো কিনা, এমন প্রশ্ন তুলেন দলটির নেতাকর্মীরা।
গত সোমবার পাকিস্তানের একটি আদালত ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা বাতিল করেন। কারাগারে থাকা পিটিআই নেতার জন্য এটি একটি স্বস্তির খবর।
সাজা স্থগিত হলেও ছাড়া পাচ্ছেন না ইমরান খান : দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেওয়া তোশাখানা দুর্নীতি মামলার কারাদ- স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার নতুন এ রায় দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তবে এ মামলায় জামিনে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশও দিলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না ইমরান খান।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, আগামী ৩০ আগস্ট গোপন তারবার্তা প্রকাশ (সাইফার মামলা) মামলায় তাকে আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে সরকারি গোপন নথি আইন বিশেষ আদালত।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত সরকারি গোপন নথি আইন বিশেষ আদালত অ্যাটোক কারাগারে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এতে ইমরানকে কারাগারেই আটক রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অ্যাটোক কারাগারের সুপারিনটেনডেন্টের কাছে পাঠানো চিঠিতে বিশেষ আদালতের বিচারক হাসনাত মুহাম্মদ জুলকারনাইন বলেছেন, অভিযুক্ত ইমরান খান নিয়াজি, পিতা ইকরামুল্লাহ খান নিয়াজি, ঠিকানা জামান পার্ক লাহোর তাকে বিচারিক রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো, যিনি ইতিমধ্যে বিভাগীয় জেলে আটক আছেন।
জেলা ও দায়রা আদালত কারাদ- দেওয়ার পরই এর বিরুদ্ধে আবেদন করেন ইমরান খান। সোমবার এ ব্যাপারে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে শুনানি হয়। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমীর ফারুক এবং বিচারক তারিক মাহমুদকে নিয়ে গঠিত দুই সদস্যের বেঞ্চ গতকাল ঘোষণা দেন, তারা ইমরানের কারাদ-ের রায়ের ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে উপনীতি হয়েছেন এবং মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ১১টায় এ ব্যাপারে রায় দেওয়ার কথা । তবে সেই রায় দেওয়া হয় দুপুর ১টার পর। রায়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেওয়া তোশাখানা দুর্নীতি মামলার কারাদ- স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
দণ্ড স্থগিত ‘অন্ধকার অধ্যায়’: শাহবাজ শরিফ
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দণ্ড স্থগিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় একে ‘অন্ধকার অধ্যায়’ বলে মন্তব্য করেছেন শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যানের সাজা স্থগিতে নমনীয় হওয়ায় ইসলামাবাদ আদালত ও প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের প্রতি নিন্দা জানান তিনি।