২ মাসে ৪৩ হাজার সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন : রাশিয়া
সংগ্রাম ডেস্ক : ইউক্রেন গত জুন মাসে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। রাশিয়ার দাবি, কথিত এই পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনের ৪৩ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আহত, ইউক্রেন বা অন্য দেশে হাসপাতালে নেওয়া সেনা, বিদেশি ভাড়াটে সেনা ও দূর থেকে চালানো হামলায় নিহত সেনাদের হিসাব এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সিএনএন, রয়টার্স, আনাদুলু এজেন্সি
রাশিয়ার বলেছে, গত জুন ও জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ৭৬টি এম৭৭৭ কামান ব্যবস্থা হারিয়েছে কিয়েভ। এ সময় ইউক্রেন বাহিনীর সাঁজোয়া যান, ট্যাংকসহ ৪ হাজার ৯০০টি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনাসহ আরও অনেক সামরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যার হিসাব এখানে উল্লেখ করা হয়নি। ক্রেমলিনের দাবি, যে লক্ষ্য নিয়ে ইউক্রেন তার কথিত পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করেছিল, তা তো পূরণ করতে পারেনি, উল্টো রুশ বাহিনী বিভিন্ন অঞ্চলে আরও অগ্রসর হয়ে নিজেদের অবস্থান সংহত করেছে। এসব অঞ্চলের মধ্যে আছে সাউথ দোনেৎস্ক, বাখমুত ও জাপোরিজিয়া অঞ্চল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, দোনেৎস্ক, সাউথ দোনেৎস্ক, বাখমুত ও জাপোরিজিয়া অঞ্চল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, দোনেৎস্ক, সাউথ দোনেৎস্ক, কুপিয়ানস্ক ও লিমান অঞ্চলকে লক্ষ্য করে ইউক্রেন এখনো হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে। ক্রেমলিনের দাবি, গত শুক্রবার থেকে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় জাপোরিজিয়ায় ১৩০, সাউথ দোনেৎস্কে ১২০ ও লিমানে ৭০ জন সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন।
দক্ষিণে এগোচ্ছে ইউক্রেন রাশিয়ার নজর খারকিভে : রাশিয়ার দখলে যাওয়া নিজেদের দক্ষিণাঞ্চলে লড়াইয়ে লিপ্ত ইউক্রেনীয় বাহিনী। ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে দখলকৃত এলাকাগুলোয়। ইউক্রেনের সেনারা যখন এ দিকটায় নিজেদের অগ্রগতি ধরে রেখেছে, ঠিক একই সময় রুশ বাহিনীর নজর ইউক্রেনের পূর্বে অবস্থিত খারকিভে।
এ বিষয়ে ইউক্রেনীয় উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের যোদ্ধা সামনের দিকে প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে মাঝামাঝিতে ঢুকে পড়েছে। তবে ইউক্রেনের এই অগ্রগতি প্রসঙ্গে সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার মনোযোগের বেশিভাগ জায়গাটা হলো খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক। যেটি গত শরৎ-এ শত্রুমুক্ত করেছিল আমাদের বাহিনী। এখন তারা আবারও দখল নিতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মালিয়ার বলেন, দক্ষিণ ও পূর্বে রিজার্ভ বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যা দক্ষ ইউনিট নিয়ে গঠিত। ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা যখন বাখমুত ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে হামলা চালাচ্ছে তখন দেশটির উত্তরে আক্রমণ ক্রমাগত জোরদার করেছে মস্কো। শুধু উত্তরেই নয়, গত মাস থেকে বন্দরনগরী ওডেসা রুশ হমলার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ধ্বংস হচ্ছে খাদ্য শস্যগুদাম। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাকে রাশিয়ার সন্ত্রাসী কর্মকা- অ্যাখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।