আতঙ্কে নাইজার ছাড়ছেন ইউরোপীয়রা
২ আগস্ট, রয়টার্স : পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় দেশটি ছাড়তে শুরু করেছেন ইউরোপের নাগরিকরা। নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারিতে আতঙ্কে বিমানযোগে অনেকে ফ্রান্স ও ইতালি পৌঁছেছেন। বুধবার ভোর পর্যন্ত ২৬২ জন প্যারিসে পৌঁছার খবর নিশ্চিত করেছে ম্যাঁক্রো সরকার।
নাইজারে গত সপ্তাহে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটায় দেশটির সেনাবাহিনী। ফরাসি দূতাবাসে হামলা চালায় অভ্যুত্থানপক্ষের লোকজন। প্রেসিডেন্টকে বন্দি করে গোপন স্থানে নিয়ে যায় তার নিজের নিরাপত্তা বাহিনী। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আফ্রিকা ইউনিয়নের জোটভুক্ত দেশের নেতারা। নিরাপত্তা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতির শঙ্কায় নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে ফ্রান্স ও ইতালি।
তবে ম্যাক্রোঁ সরকার জানিয়েছে, নাইজারে ইসলামপন্থিদের মোকাবিলায় নিয়োজিত থাকা ১ হাজার ফরাসি সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা নেই আপাতত। এদিকে ইউরোপীয়দের সরিয়ে নিতে ফ্রান্সের প্রস্তাব গ্রহণ করতে নিজ দেশের নাগরিক প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জার্মান সরকার। ইতালি একটি ফ্লাইট চালু করেছে। গতকাল বুধবার ৮৭ জনকে রোমে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ওই বিমানে ৩৬ জন ইতালীয়, ২১ জন মার্কিনি ও একজন ব্রিটেনের নাগরিক ছিলেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এখনই হুমকি না দেখায় আপাতত তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না। জান্তার হাতে বন্দি নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করতে সামরিক বাহিনীকে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক সংগঠন ইকোওয়াসের নেতারা। দাবি না মানলে নাইজারের সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় যেকোনও ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জোটটি।
সাহারা মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত নাইজার। ফ্রান্স থকে ১৯৬০ সালে স্বাধীন হয় দেশটি। স্বাধীনতার পর বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থানের কারণে রাজনীতিতে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করে। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট হন বাজুম। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৬০ সালে স্বাধীন হওয়ার পর নাইজারের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তিনি।