বেদানার অপকার

সংগ্রাম অনলাইন: বেদানার রস শরীরের পক্ষে খুব উপকারি। বেদানায় ফাইবার, ভিটামিন কে, সি এবং বি, আয়রন, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টিগুণ থাকে।
বেদানা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যের জন্য এত উপকারী হওয়া সত্ত্বেও অনেকেরই বেদানা বা ডালিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, কখনো কখনো কারো কারোর ক্ষেত্রে বেদানা মারাত্মক হতে পারে। যেমন:
ত্বকের অ্যালার্জি: আপনার যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তবে আপনার ডালিম খাওয়া উচিত নয়।এমনটা করলে আপনার সমস্যা আরও বাড়তে পারে। আসলে ডালিম খেলে শরীরে রক্ত বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার ত্বকে অ্যালার্জি থাকলে, আপনি যদি ডালিম খান, তাহলে আপনার শরীরে লাল গোটা বেরোতে পারে।
নিম্ন রক্তচাপে ভুগলে: যাঁদের রক্তচাপ কম, তাঁদেরও ডালিম খাওয়া উচিত নয়। কারণ বেদানায় একটি শীতল ভাব রয়েছে, যা আমাদের শরীরে রক্ত চলাচলের গতি কমিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্ন রক্তচাপের জন্য ওষুধ গ্রহণকারীরা ডালিম খেলে ক্ষতি হতে পারে। কারণ এতে উপস্থিত উপাদানগুলি ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে, যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে: যাঁরা অ্যাসিডিটিতে ভোগেন, তাঁদের ডালিম খাওয়া উচিত নয়। ডালিমের ঠান্ডা প্রভাবে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। যার কারণে পেটে খাবার নষ্ট হতে শুরু করে।
কাশিতে ভুগলে: বেদানা ঠাণ্ডা প্রকৃতির, তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের লোকেরা যদি প্রচুর পরিমাণে ডালিম খান, তবে তাঁদের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা থাকলে: যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদেরও ডালিম খাওয়া উচিত নয়। বেদানার অত্যধিক সেবনে হজম ব্যবস্থার সমস্যা হতে পারে। এছাড়া যাঁদের গ্যাসের সমস্যা আছে, তাঁদেরও ডালিম খাওয়া উচিত নয়। কারণ ডালিমের ঠান্ডা প্রভাবে এটি ঠিকমতো হজম হয় না।
মানসিক রোগের ঔষধ সেবন করলে: মানসিক রোগে আক্রান্ত যেসব রোগীরা, যারা নিয়মিত মানসিক রোগের জন্য ওষুধ খান তাদের জন্য বেদানা প্রায় বিষের সমান।