বৃহস্পতিবার ৩০ নবেম্বর ২০২৩
Online Edition

কাবার পথে 

আক্তার বিন আমির আহমাদ 

হজ্বের মৌসুম!  পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ মক্কায় জড়ো হচ্ছে। সেখানে সাদা-কালোর কোন ভেদাভেদ নেই!  অথচ প্রায় সময়ই সাদা- কালো বর্ণ নিয়ে মারামারি, হানাহানি এমনকি আইন আদালত পর্যন্ত গড়ায়!  

হজে¦র সময় সেটার চিত্র ভিন্ন। ভ্রাতৃত্ব বন্ধন কারে কয়, সেটা একমাত্র হজ্বের সময়ই বুঝা যায়। পৃথিবীর সকল দেশের আগত হজ্বযাত্রী মনে হয় মক্কাতে একে অপরের একই মায়ের পেটের ভাই। একসাথে এককাতারে নামাজ, কাবা তাওয়াফ, মুজদালিফায় রাত্রি যাপন, সাফা ও মারওয়া সায়ী করা , আরাফাত ময়দানে অবস্থান করে  খুতবাহ্ শোনা। কী চিরাচরিত নিয়ম!  কে শ্বেতাঙ্গ, কে কৃষ্ণাঙ্গ আগত হজ্ব পালনকারীদের সেদিকে খেয়াল নেই! একেই বলে ভ্রাতৃত্ববন্ধন!  

 মুসলিমগণ তাদের পিতৃপুরুষ, জাতির পিতা ইব্রাহীম ( আঃ) এর অনুসরণ, অনুকরণ করেন। মাকামে ইবরাহীম (আঃ) দেখে  মুসলিমগণ তাদের জাতির পিতার কথা মনে করে, সেখানে আবার নামাজ আদায় করে। জাতির পিতা ইব্রাহীম (আঃ) এবং তার শিশু পুত্র ইসমাঈল (আঃ)  এর কাবাঘর নির্মাণের কথা স্মরণ করেন। আল্লাহ ছুবহানাহু তা’য়ালা তার প্রিয় খলীল (বন্ধু)কে পরীক্ষা করার জন্য প্রিয় বস্তুকে কুরবানি করার আদেশ দেন এবং সেটা বাস্তবায়ন করেন। মুসলিমগণ তাদের পিতৃপুরুষের এসব ঘটনাবলী মনে করে আল্লাহর কাছে মুনাজাতে চোখের পানি ফেলেন। বিভিন্ন দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মুসল্লী আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই ইহরাম বাঁধা সাদা কাপড়ে পবিত্র হয়ে তাদের ধ্যান, জ্ঞান সবকিছুই তাদের কাবার মালিককে সঁপে দেন। এই তো ধবধবে সাদা মনের মানুষ, যেখানে এক চিমটি পরিমাণ ও কালোর লেশমাত্র নেই! পৃথিবীতে এমন দৃশ্য বছরে একবার মিলে! যা নবী করিম( সাঃ) দশম হিজরীতে লক্ষাধিক সাহাবীগণের সাথে আদায় করেছিলেন। সেই আরাফাত ময়দান, জাবালে ছউর, জাবালে নূর, সাফা ও মারওয়া, মিনা, জমজম আজও আছে, কিয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে ইনশাঅল্লাহ। এখন  শুধু নেই  আকাশের নক্ষত্ররাজির মতো সাহাবীরা!  আছে শুধু তাদের অনুসরণকারীরা। এ বছর হজ্ব আকবরী যেনো আল্লাহর নিকট সকল দেশের হাজীগণের হজ্ব কবুল হয়। আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ