চাঁপাইনবাবগঞ্জের দড়ির খাট

শফিকুল ইসলাম, গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ): চাঁপাইনবাবগঞ্জের দড়ির খাট বা চারপাই খাট আমাদের পূর্বপুরুষদের অন্যতম (Invent) উদ্ভাবন ও ঐতিহ্য ছিল। খাট তৈরি করতে শারীরিক শ্রম ও মানসিক উৎকর্ষের প্রয়োজন রয়েছে।
তারা কি ডবল বেড, বক্স খাট সোফা কাম বেড ইত্যাদি তৈরি করতে পারতেন না? পারতেন। কিন্তু তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনের ফলে দড়ির তৈরি খাটে শোওয়ার জন্য শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালভাবে হয়। নিয়মিত এই খাটে শোওয়ার ফলে বায়ুজনিত রোগ থেকে মুক্তি মেলে। এই খাটে শোওয়ার ফলে আকুপ্রেশার ও আকুপাংচারের সম্পূর্ণ লাভ মিলে যায়। ফলে কোমর ব্যথা, পিঠ ব্যথা, ঘাড় ব্যথা হয় না। এই কিছুদিন আগেও গায়ে হাতেপায়ে ব্যথা হলে সেই সময়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক্তার তার রোগীকে পরামর্শ দিতেন চারপাই খাটে শোওয়ার। বর্তমান যুগের ডাক্তারগণ আর তা বলেন না। এছাড়া এই খাট হাল্কা ও ট্রান্সরেবল হওয়ার কারণে প্রতিদিন খাটটিকে রৌদ্রেও দেওয়া সম্ভব ছিল। ফলে এই খাট সর্বদাই জীবাণুমুক্ত থাকে। অপরদিকে আধুনিক বক্স খাট ও অন্যান্য খাট রৌদ্রে দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে এই অন্ধকারাচ্ছন্ন খাটে প্রচুর জীবাণু বাস করে। যা দেহে সংক্রমণ ঘটে। ডাক্তার যখন কাউকে কয়েকদিন সম্পূর্ণ বেডরেস্ট দিতে বলেন। তখন সেই রোগী কিছুদিন প্লেইন কাঠের তৈরি খাটে শোওয়ার ফলে তার ‘বেডশোর’ হয়ে যায়।