রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
Online Edition

কবিতা

আমার চাওয়া

ফরিদ আহমদ ফরাজী

একটি নতুন সূর্য চাই

নতুন ভোরের আলো

ভাল্লাগে না রাতের আঁধার

অমানিশা কালো। 

 

একটি চাঁদের হাসি চাই

কোটি তারার মাঝে

যে হাসিতে পাঞ্জেরিরা 

সাজবে নতুন সাজে।

 

একটি সবুজ বাগান চাই

ফুল ফসলে ভরা

যে বাগানটি স্বাধীনতার 

রসদ দিয়ে গড়া।

 

একটি সুন্দর মানুষ চাই

যার হৃদয়টি খোলা

মনের সাথে মন মিলানো

সকল বিভেদ ভোলা।

 

খুকুর অভিমান

আলমামুন হোসেন  

ছোট্ট খুকু রাগ করেছে

যাবে না আজ বাড়ি,

খুকুর বাবা তাই এনেছে 

রঙিন খেলনা গাড়ি।

 

খেলনা গাড়ি পেয়ে খুকু

ভীষণ খুশি হলো,

বলছে খুকু তাই বাবাকে

এবার বাড়ি চলো।

 

যাচ্ছে খুকু ফিরে বাড়ি

ছেড়ে মিছে খেলা,

শিয়াল মামা ডাকছে দূরে

হলো সাঁঝের বেলা।

 

শান্ত হলো খুকুমণি 

পেয়ে খেলনা গাড়ি, 

আর দেবে না কারো সাথে 

শুধু শুধু আড়ি।

 

আষাঢ় মাসে

চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু

বর্ষা আসে আষাঢ় মাসে

বৃষ্টি শুধু ঝরে,

টিনের চালে গাছের ডালে

হাজার খড়ের ঘরে।

 

বর্ষা এলে ছন্দ মেলে

সোনা ব্যাঙের গান,

ঝরাপাতা গাছগুলো সব

পায় ফিরে সব প্রাণ।

 

বর্ষা আসে সুবাস ছড়ায়

হাজারো ফুল ফোটে,

দাদুর মুখে আষাঢ়ে সব

গল্প যত ছোটে। 

 

বর্ষা আসে সূর্য হাসে

বর্যা আসে ফিরে,                                                       

হাজার স্মৃতি ঘিরে।

 

 

হাঁসের ছানা

রাজীব হাসান

হাঁসের ছানা করছে মানা

যাবে না সে নাইতে

ডোবার পানি গরম ভীষণ

পা পুড়েছে যাইতে।

 

কেমন করে হাঁসের ছানা

হেঁটে যাবে ডোবায়

পায়ের পাতা ফুলে যে সে

ব্যথাতে কাতরায়।

 

আজব প্রশ্ন 

রহিমা আক্তার রীমা 

রাজ-কুমারীর বায়না

শাড়ি-গয়না চায় না

পোষা বিড়াল তার সাথে 

কেন কথা কয় না?

 

লেজ নাড়িয়ে চলে সে

মিটিমিটি চায়,

মাংস পোলাও দিলে কেন

মাছের কাঁটা খায়?

 

কেন জামা পরে না

থাকে খালি গায়,

পা কেন তার খালি থাকে

ভাবনা শুধু হায়! 

 

রাজকুমারী অবুঝ শিশু

বুঝে না সে তফাৎ

আজব কতো প্রশ্ন করে

না বুঝেই হঠাৎ।

 

পিঁপড়ে কাণ্ড

দ্বীন মোহাম্মাদ দুখু 

পিঁপড়ের কামড় সে কি জ্বালা

বুঝছে হাতির পুত

গড়াগড়ি করছে রাতে

শুইতেও নাই যুত।

 

বাঘের ছেলে বড় ডাক্তার 

দিলো ইনজেকশন 

বাবা মাগো ডাক চিৎকারে

উঠলো কেঁপে মন।

 

সিংহ বলে ডাক্তার ব্যাটার 

মাথায় আছে গোবর 

ইনজেকশনে হাতির পুতের

যেতে হবে কবর।

 

ঠাট্টা করে মশা বলে 

এলো কলির কাল

অতি দুঃখে কেউ কাঁদে না

অল্পতে চোখ লাল।

 

বৃষ্টি

আহমাদ কাউসার 

বৃষ্টি পড়ে পাতায়

গেছো ব্যাঙের মাথায়

বৃষ্টি পড়ে নায়ে

সবুজ শ্যামল গাঁয়ে।

 

বৃষ্টি পড়ে ডালে

কুঁড়েঘরের চালে

বৃষ্টি পড়ে মাচায়

টুনটুনিদের বাসায়।

 

বৃষ্টি পড়ে বনে

ক্ষেতের ভরা শনে

বৃষ্টি পড়ে বাটে

ছোট খেয়াঘাটে।

 

আয় ছুটে গ্রামে

আসাদ সরকার

প্রভাত হলে পাখি ডাকে 

সূয্যিমামা আসে,

শিশির ভেজা দূর্বাঘাসে

মিষ্টি করে হাসে।

 

সবুজ মাঠে হলুদ সাদা

কতোনা ফুল ফোটে,

ভ্রমর এসে আপন মনে

ফুলের মাঝে জোটে।

 

পাখির কূজন ফুলের হাসি

দেখতে যদি চাও,

ইট পাথরের শহর ছেড়ে 

গ্রামের বাড়ি যাও।

 

টই টই

বিল্লাল মাহমুদ মানিক

টই টই টই

হেলেদুলে হাঁটে খুকু

রেখে খাতা-বই।

 

হই হই হই

সারাদিন চলে খেলা

সাথে হৈ চৈ।

 

রই রই রই

হাঁউমাউ কাঁদে খুকু

মা গিয়েছে কই?

 

পই পই পই

মাকে পেয়ে হাসে খুকু

দেখো চেয়ে ওই।

 

লোভ করো

নাঈম মাহমুদ সোহাগ 

লোভ করো 

দ্বীনের পথে চলার, 

লোভ করো 

সত্য কথা বলার।

 

লোভ করো

বাবা, মা কে ভালোবাসার। 

লোভ করো  

সবাই শান্তি-সুখে হাসার। 

 

লোভ করো 

ভালো কিছু জানার, 

লোভ করো 

সত্যটাকে মানার।

 

ঝুমঝুম বৃষ্টি 

ইরফান তানভীর 

ঝুমঝুম ঝরে ঐ 

মেঘ থেকে বৃষ্টি, 

অপরূপ দৃশ্যটা

কেড়ে নেয় দৃষ্টি। 

 

বৃষ্টির তালে তালে

গাছপালা দুলছে, 

বাতাসের ঝাপটায় 

জানালাটা খুলছে। 

 

আচমকা আকাশে

বিজলিরা চমকায়,

ভয়ানক গর্জনে

পৃথিবীকে চমকায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ